ফেনীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। জেলা যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন জসিম বাদি হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার দুপুরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জসিম উল্লেখ করেন, বিগত সময়ে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সায় থাকতেন। যার ফলে পুলিশ কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে রাজনৈতিক মামলায় আসামি করে। ২০২২ সালের ২২ জুলাই রাত ৯টার দিকে সেনসিভ হাসপাতালে গিয়ে চাঁদা দাবি, ভাঙচুর, লুটপাট করেন। এঘটনায় ফেনী মডেল থানার এসআই নারায়ণ চন্দ্র দাস প্রত্যক্ষ মদদ দেন বলেও অভিযোগ করেন ধলিয়া ইউপির সাবেক এ চেয়ারম্যান।
সেদিনের ঘটনায় তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দিতে চাইলে তা গ্রহণ করা হয়নি। মামলায় তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা, সিআইডির সাবেক অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, ফেনী মডেল থানার তৎকালীন ওসি নিজাম উদ্দিন, বর্তমান ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন, শহর পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং লাজফার্মার চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন সেন্টু, ফুলগাজী আলিম মজুমদার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল আলীম,ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল আউয়াল সবুজ, ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম, ছাগলনাইয়ার মহামায়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিনু, ফেনী পৌর ১৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেন সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহনুর আলম জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগ জমা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালত কোনো ধরনের আদেশ দেয়নি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর