অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন- আওয়ামী লীগ সরকারের পতনটা কিন্তু তাদের যে চাঁদাবাজি,দখলদারিত্ব মানুষের ওপর অন্যায় অবিচার তারা করেছে তার একটি চূড়ান্ত ফসল। আমরা বাকী রাজনৈতিক দলসহ সকলে যদি সেই একই পথে হাঁটেন আপনাদের পরিণতি ও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী সরকারের মত হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরের টাউনহল মাঠের জনতার মঞ্চে অভ্যুত্থানের শহিদদের স্পিরিট কে ধারণ করে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন-জনগণ যেভাবে সচেতন হয়েছে। তরুণরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে,তারুণ্যের এ শক্তিকে আবার চাঁদাবাজি দখলদারিত্ব দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।এ শক্তি সমুন্নত থাকবে। ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান যেন ঘটতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে।
বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মো: রুবেল হোসাইন, বুয়েটের সমন্বয়ক মাহফুজ খান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল কাদের,মৃয়ন মনি,মাহি কাজওয়াল ওহি,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া উদ্দিন অয়ন,কাজী বুলবুল আহমেদ ও ইয়াছিন আরাফাত হিমুসহ কেন্দ্রীয় সদস্যবৃন্দ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ফ্যাসিস্টদের অস্ত্র হচ্ছে বিভাজন। আমরা ৫ই আগস্ট বন্যাসহ সকল জায়গায় আমাদের ঐক্যের অস্ত্র দেখিয়েছি। আমাদের এই অস্ত্র যদি সমুন্নত রাখতে পারি এই বাংলাদেশে কখনো কোনো ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসতে পারবে না।
দেশের কাঠামোগত সংস্কারের বিষয় ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশে আমরা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। এখন আর কেউ ত্রাণ চুরি করে নিয়ে যায় না। দেশের এয়ারপোর্টগুলোতে প্রবাসী ভাইদের আর কেউ লাঞ্ছিত করে না। সরকারি অফিসগুলোতে ঘুষ নেয়ার সাহস করে না। এই পরিবর্তন বজায় রাখতে হলে দেশের কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে। আর সেটি নির্ধারণ করবেন আপনারা।
এদিকে মতবিনিময় সভার শুরুর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা টাউনহল মাঠের মুক্ত মঞ্চের পশ্চিম পাশে পরপর তিন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ছাত্র সমন্বয়কদের কমিটি গঠন জের হিসেবে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর