
জয়পুরহাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট হামলা, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও গুলি করে আহত করার অভিযোগে ৩২৮ জনের নাম উল্লেখ সহ ৩০০ হতে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে জয়পুরহাট থানায় আজ বুধবার একটি মামলা দায়ের করেছেন মিনকুল হোসেন নামে জয়পুরহাট বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে জয়পুরহাট জেলায় মামলার সংখ্যা হলো ১১ টি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি মাহফুজা মন্ডল রিনাসহ ৩২৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও আব্দুল আজিজ মোল্লা , সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মিঠু ও এস এম সোলায়মান আলী, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন্নাহার শিখা ও মনিরুল শহীদ মুন্না, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, ক্ষেতলাল উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া, মোস্তাকিম মন্ডল ও তাইফুল ইসলাম তালুকদার। সাবেক মেয়র সিরাজুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম বুলু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কুমার সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর, কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন সহ ।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জয়পুরহাট সদর উপজেলার থিয়ট গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে জয়পুরহাট বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ মিনকুল হোসেন বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় মামলাটি করেন।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর মামলার বরাত দিয়ে বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে শহরের বাটারমোড় এলাকায় গুম, খুন ও নির্যাতনের মাধ্যমে আন্দোলন দমানোর জন্য সশস্ত্র অবস্থায় আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর সশস্ত্র হামলা ও গুলি চালায়। এতে মিনকুল হোসেনের চোখে গুলি লাগলে গুরুতর আহত হন। এছাড়া ওই দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক কর্মী গুরুতর আহত হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার ৩৭ দিন পর গুলিবিদ্ধ মিনকুল বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় ৩২৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৩০০ হতে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে মামলা দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, মামলার বাদী মিনকুল হোসেন ৪ আগস্ট আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিল। চিকিৎসা শেষে (১১ সেপ্টেম্বর ) জয়পুরহাটের সাবেক দুই এমপিসহ ৩২৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করেছে।
উল্লেখ্য, ৪ ও ৫ আগস্টের ঘটনায় জয়পুরহাটে ২টি হত্যা ও ৯টি সন্ত্রাসী হামলাসহ মোট ১১টি মামলা হলো । মামলায় গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি হুমায়ন কবীর।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর