জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৫-১১ সেপ্টেম্বর ‘দৃশ্যশিল্পে জুলাই গণ অভ্যুত্থান’ শীর্ষক চিত্র, অ্যানিমেশন, কমিকস ও কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঠিক একমাস পর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে এই প্রদর্শনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জুলাই বিদ্রোহের শহীদদের স্মরণে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিক সংগ্রামে জনগণের বীরত্বের কথা স্মরণ করে এটির আয়োজন করে।
প্রদর্শনীর সময় প্রদর্শিত চিত্র এবং অ্যানিমেশনে বিভিন্ন থিম দেখানো হয়েছে যেমন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসিকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র। যিনি ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে হামলা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে অস্বীকার করেছিলেন। এছাড়াও জুলাই বিদ্রোহে জনগণের বীরত্ব এবং শহীদদের স্মৃতি ছোট আকারের কার্টুন এবং কমিকে তুলে ধরা হয়।
ক্যাম্পাসের মাঠে প্রদর্শনের জন্য পোর্টেবল সাদা কার্ডবোর্ডে পেইন্টিং এবং চিত্রগুলি সাজানো হয়। জুলাই বিদ্রোহের গল্প সমন্বিত একটি সংক্ষিপ্ত অ্যানিমেশন ভিডিও দর্শকদের বিশেষভাবে নজর কেড়েছে।
অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাঈদ হোসেন এবং উম্মে খায়ের ঈদি, যারা উভয়েই জুলাই বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। চারুকলা বিভাগের শিক্ষকরাও প্রদর্শনী সংগঠনে সক্রিয় অবদান রাখেন। রাঈদ হোসেন ২৪ এর শহীদদের জন্য প্রথম স্মৃতিসৌধের নকশা করেন যা এখনও জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন রয়েছে।
আয়োজন সম্পর্কে আয়োজক রাঈদ হোসেন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তৎপরবর্তীকালের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক আন্দোলনের স্মৃতি ধরে রাখা এবং সাভার এলাকার শহীদদের উৎসর্গ করে এই আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। জুলাই অভ্যুত্থানের ১ মাস পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই এক্সিবিশনে জাবি চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের অনেকেই আমাদের কাছে কার্টুন, কমিক পাঠিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ছড়িয়ে দেয়াই ছিলো আমাদের আয়োজনের উদ্দেশ্য।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর