ডিবি পরিচয়ে গভীর রাতে কিশোরগঞ্জ থেকে অপহরণ করে এক যুবককে অপহরণকারীরা। মাঝপথে ওই যুবকের আত্ম চিৎকারে জনতার হাতে ধরা পরে ভুয়া ডিবি পরিচয়ের অপহরণকারীরা। অপহরণের অভিযোগে ভুয়া ডিবি পরিচয়দানকারী ৪ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
থানা পুলিশ সূত্র জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন আনুকে তার বাড়ি থেকে ডিবি পরিচয়ে কতিপয় ব্যক্তি একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার পরিবারের লোকজন ওই দিন দুপুরে স্থানীয় থানা ও ডিবি অফিসে খোঁজ নেন, তাকে কেন তুলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় থানা ও ডিবি অফিসে তার আটকের কোন তথ্য না পাওয়ায় বিষয়টি তারা কিশোরগঞ্জ থানায় অবগত করেন। এদিকে ডিবি পরিচয়ে গভীর রাতে কিশোরগঞ্জ থেকে অপহরণ করে ওই যুবককে অপহরণকারীরা ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মাইক্রোবাসে রেখে বগুড়ার শেরপুর এলাকায় একটি দোকানে ভাত খাওয়ার জন্য নামেন। এ সুযোগে ওই যুবক আত্মচিৎকার করতে থাকে। এ সময় আনুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ওই যুবককে উদ্ধারসহ ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি ও অপহরণকারীদের আটক করে স্থানীয় পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। পরে খবর পেয়ে ওই যুবক আনু ও ভুয়া ডিবি পরিচয়ের ৪ অপহরণকারীকে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে আসে। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। অপহরণকারী ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জামালপুর মেলাকন্দ শেষবাড়ি এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে শাল আলম (৪০), গাজীপুর টঙ্গী এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে সাগর (২৫), নরসিংদী পলাশ বাড়ি এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে সজল মিয়া (২৫), গাজীপুর টঙ্গি এলাকার হারুন রশিদের ছেলে কামরুল ইসলাম (৪২)।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিডি২৪লাইভকে জানান- বগুড়া শেরপুর থানা এলাকায় চিৎকার শুনে আনুকে উদ্ধারসহ অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অভিযুক্তদের কিশোরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় ৪ জন অপহরণকারীকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। অপহরণে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর