ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে ২২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া ক্লাসে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন তারা। মিছিল নিয়ে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়ায় জড়ো হন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। 

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু সেই কথাটাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। যেখানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেই দখলদারিত্ব, লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির রাস্তা বন্ধ হয় সেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলার মানে হয় না।

তারা আরও জানান, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে কালক্ষেপণ না করে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ না করা হলে আমরা ২২ তারিখে ক্লাসে ফিরতে চাই না।

তারা বলেন, হলগুলোতে গেস্টরুম, গণরুমের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক প্রহসন চালানো হয় শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর ফ্যাসিবাদী স্বার্থ হাসিল করার জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ধরনের নোংরা দলীয় রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আমরা ক্যাম্পাসে বিরাজনীতিকরণের পক্ষে নয় বরং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নির্বাচন করার পক্ষে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ক্যাম্পাস পলিটিক্স, নো মোর নো মোর’, ‘দলীয় রাজনীতির ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘হলে হলে খবর দে, ছাত্র রাজনীতির কবর দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

মুনতাসির/সাএ