নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী গ্রামের চাঞ্চল্যকর আমেনা বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মো. আসিফ মোল্যাকে (১৯) তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। আসিফ জেলার বিছালী গ্রামের মো.বাবর আলী মোল্যার ছেলে। তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে নড়াইল জেলা পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান,গত ৪ আগস্ট নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী গ্রামের মো. মনির হোসেন মোল্যার স্ত্রী আমেনা বেগম (৫৭) নিজ বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। এ ঘটনায় ১২ আগস্ট নড়াইল সদর থানার মামলা দায়ের হয়। মামলা নং- ২। ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে নড়াইল জেলা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাজেদুল ইসলাম এবং এসআই সেলিম মহালদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসিফ মোল্যাকে অভিযান পরিচালনা করে তার নিজ এলাকা হতে গ্রেফতার করে। এছাড়া আমেনা বেগমের লুষ্ঠিত মোবাইল ফোনটি তার হেফাজত হতে জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসিফ মোল্যা থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, ভিকটিম মৃত আমেনা বেগম সম্পর্কে তার গ্রাম্য দাদি হয়। আমেনার পরিবারের সাথে তাদের পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে উক্ত বিষয় নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরেও আমেনা তাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। গত ২৮ জুলাই আমেনা তাদের বাড়িতে গিয়ে আসিফের মায়ের নামে আজেবাজে কথা বলেন ও গালিগালাজ করেন। তখন আসিফ খুব কষ্ট পায়। গত ২ আগস্ট আমেনার হাঁস চুরি হলে আসিফকে চোরের অপবাদ দেয়। এঘটনায় তার মা তাকেকে মারপিট শুরু করে। এতে করে তার অনেক রাগ হয়। এসব কারণে আসিফ গত ৪ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আমেনার বাড়িতে যায়। তখন গেটে তালা দেয়া ছিল। আসিফ আমেনা কে দাদি বলে ডাক দিলে তিনি গেটের তালা খুলে দেয়। তারপর সে ঘরের ভিতরে যায়। তখন আমেনা বলে যে, ‘তুই বসতি থাক আমি কয়টা ভাত খেয়ে নিই। আমেনা ভাত খাওয়ার পর বলেন যে,‘আমি শুয়ে পড়ব, অনেক রাত হয়েছে। তুই আরেকটু বস, তখন আসিফ পিছন থেকে তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেঁচিয়ে ধরে। কিছুক্ষণ পরে তিনি আস্তে আস্তে নিশ্বাস নিচ্ছিল। তারপর আমেনাকে তার পরনের শাড়ি দিয়ে গলায় আবার পেঁচিয়ে ধরে শ্বাস রোধ করে মেরে ফেলে। আসিফ আমানের ব্যবহৃত আইটেল কোম্পানির মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায়। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর