জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন করতে গিয়ে নাগরিকদের মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে মাঠ পর্যায়ে বারবার তাগাদা দিলও আশানুরূপ কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ফলেমাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে জবাবদিহিতার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)

ইসি কর্মকর্তারা জানান,মাসের পর মাস বছরের পর বছর এনআইডি সংশোধনের আবেদন ঝুলে থাকে। এতে করে নাগরিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।আবেদনগুলো ক্যাটাগরি(সংশোধনের জটিলতা অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা) হওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে যেয়ে তা কর্মকর্তাদের টেবিলে আটকে থাকে। এতদিন বারবার তাগাদা দেওয়ার পর তেমন কোনো কাজে আসেনি।এজন্য কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ইসি সচিব এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের কার দপ্তরে কোনো ক্যাটাগরিতে কত আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। আর তথ্য পাঠাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ইসির এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম ইতিমধ্যে নির্দেশনাটি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। 

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সচিব মহোদয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাগণকে তার আওতাধীন সকল জেলার এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রেরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এক্ষেত্রে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এক মাসের কম সময়ের কতটি আবেদন, এক মাসের বেশি তবে তিন মাসের কম সময়ের কতটি আবেদন, তিন মাস বা তার বেশি তবে ছয় মাসের কম সময়ের কতটি আবেদন এবং ছয় মাস বা ছয় মাসের বেশি সময়ের কতটি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে আছে তা ক্যটাগরি অনুযায়ী জেলা ভিত্তিক তথ্য পাঠাতে হবে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব শফিউল জানিয়েছেন, এনআইডি সেবায় খুব মার্জিন লেবেলের এরর আছে। আমরা চেষ্টা করছি ১০০ ভাগ নির্ভুল করতে এবং দুর্নীতিমুক্ত করতে, দ্রুত মানুষ যেন সেবা পায় সেই চেষ্টা করছি।

জানা গেছে, কেবল ক ক্যাটাগরির ৩০ হাজার ৩৮৬টি আবেদন Sent Back to Citizen এবং ১৭ হাজার ৪৩৭টি আবেদন Additional Document Required অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। এ সকল আবেদন ২০১১ সাল এবং তৎপরবর্তী দীর্ঘ সময় যাবত অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে।

রার/সা.এ