বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়াদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থী ও এক ব্যবসায়ী এখনও রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার মধ্যে অস্ত্রোপচার করেও শিক্ষার্থী সালমানের শরীর থেকে গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। পেটে গুলি নিয়েই বেঁচে আছেন তিনি।
তবে চিকিৎসকরা জানান, পেটে গুলি রেখেই সালমানকে যথাসাধ্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে পুলিশ ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। সেদিন গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী সালমান। ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় তার শরীর। এখন পর্যন্ত পেটের ভেতর থেকে বের করা সম্ভব হয়নি সেই বুলেট। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
আহত আন্দোলনকারী সালমান বলেন, বুলেটটা বের করলে হয়তো আমি মারা যেতাম। এ কারণে চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন আমার জীবন বাঁচানোটা জরুরি। তাই আমার শরীর থেকে বুলেট বের না করেই ঠিকঠাক করে দিয়েছেন।
একই দিন মাথায় গুলি লাগে আরেক শিক্ষার্থী মমিনুল হাসানের। কয়েকদফা অপারেশনের পর খানিকটা সুস্থ আছেন তিনি। তবে পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত কুষ্টিয়ার প্রসাধনী ব্যবসায়ী ওয়াসিমের অবস্থা গুরুতর।
ওয়াসিম বলেন, একমাস প্রশ্রাবের থলিতে গুলি ছিল। সেখান থেকে প্রস্রাব বের হচ্ছিল। চিকিৎসকরা অপারেশন করে জায়গাটা ছোট করে দিয়েছেন। এখন কিছুটা ভালো আছি।
চিকিৎসরা বলছেন, মেডিকেল কর্তৃপক্ষের বিশেষ তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা চলছে। ধীরে ধীরে সবার শরীরের অবস্থা উন্নতি হচ্ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লা বলেন, ডিপার্টমেন্টের প্রধানরা প্রতিদিন আসছেন। প্রতিদিন আহতদের স্বাস্থ্যের উন্নতি, অবনতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
সম্প্রতি হাসপাতালে তাদের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার বিষয়ে তদারকি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় সমন্বয়করা।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর