নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গুমের অভিযোগে নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপার আমেনা বেগম ও নরসিংদী- ৫ (রায়পুরা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুসহ মোট ৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুম হওয়া আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমানের বড় ভাই সফিউল্লাহ বাদী হয়ে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
নরসিংদী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার পিংকি সিআইডি নরসিংদীকে অভিযোগটি তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামীরা- নরসিংদী জেলা পুলিশের সাবেক এসপি আমেনা বেগম, সাবেক এএসপি (রায়পুরা সার্কেল) বেলাল হোসেন, সাবেক ওসি আজহারুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি)সহ আরও ৬৩ জন পুলিশ ও আওয়ামীলীগের নেতা।
মামলার লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৬ জুন দুপুরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি রূপ মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার ৭ বছর পার হলেও গুম হওয়া ৪ জন বাড়িতে ফিরেননি।
ভুক্তভোগীদের পরিবার তাদের সন্ধান চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামিলীগের লোকজন বাঁধা দেয় এবং হয়রানি করার অভিযোগ করা হয়। এছাড়াও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু ও তার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ পার্থ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল।
নরসিংদী সিআইডির পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার বলেন, "আমাদের হাতে এখনও মামলার কপি আসেনি। যদি আজকে মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে, তাহলে ২-৩ দিন পর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসবে।"
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর