![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার গোমনাতী বাজারে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, গোমনাতী ইউনিয়নের মৌজা গোমনাতী গ্রামের মৃত সোপার উদ্দিনের ছেলে আবু বাদশা গত ১৯৯৭ সালের ৮ জুন গোমনাতী বাজারের জনৈক ছকিকুল ইসলামের কাছ থেকে একটি দোকান ঘর ক্রয় করে চামড়ার ব্যবসা করে আসছেন। গত ১৫ বছর আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে গোমনাতী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হানিফ ইসলাম জোরপূর্বক দোকানটির অর্ধেক দখল করে এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেন। গত ৫আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দোকানটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে গোমনাতী বাজার দোকান মালিক সমিতির কাছে চাবি জমা দেন আবু বাদশা। এ বিষয়ে গোমনাতী বাজার দোকান মালিক সমিতির লোকজন দোকানের কাগজ পত্র দেখে আবু বাদশার হাতে দোকানের চাবি বুঝিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হানিফ ইসলাম, আওয়ামীলীগের ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল কাদের, আওয়ামীলীগ নেতা উজ্জ্বল ইসলাম, মজিবর রহমান, ছাত্রলীগের ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি সোহেল, আব্দুল আজিজ, আমজাদ হোসেন, আব্দুল মজিদ ও মনির হোসেন গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আবু বাদশার দোকান ঘর দুটি ভেঙে দিয়ে লুটপাট চালায়।
এ ঘটনায় উল্লিখিত ব্যক্তিদের নামে আবু বাদশা ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে গোমনাতী বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি খায়রুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম এবং সদস্য আব্দুস ছালাম জানান, আমরা দোকানের কাগজ পত্র দেখে আবু বাদশার নিকট চাবি হস্তান্তর করি। গত ১২সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীরা দোকান দুটি ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে আবু বাদশা জানান, একটি দোকান নিয়ে দ্বন্দ্ব অথচ পার্শ্ববর্তী আমার দোকান ঘরটিও ভাঙচুর করা হয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের গোমনাতী ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিন্দা জানান।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর