বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৭-১৮ বছরে যে সম্পদ লুট হয়েছে। তার জন্য আন্দোলন করেছি। আন্দোলনে কারো চোখ, কারো পা ভেঙে পঙ্গু হয়েছে।‘আগস্ট মাসের ৪ তারিখে চিন্তাও করতে পারিনি ৫ তারিখে রাস্তায় এত মানুষ নেমে আসবে আর হাসিনার পতন ঘটাবে। সব শেষে জনতার ভয়ে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে।’ আজ শেখ হাসিনা চলে গেছে। কিন্তু দেশকে ফকির করে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন হলেও পুরোপুরি না। কারণ অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে। সে বিএনপির না। আমরা চাই এই সরকার দেশটাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাক যেনও ভোট দিতে পারি। আমরা তাদেরকে পরাজিত করেছি। দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছি। আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। তরুণ যুবকদের প্রাণ গেছে। আজকে সুযোগ এসেছে নতুন করে দেশ তৈরির। আমরা সংবিধান এমনভাবে তৈরি করবো যেনও সাধারণ মানুষ তার অধিকার ফিরে পায়।
ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে হাসিনাকে দেশ থেকে বিদায় করেছে। ফ্যাসিবাদী দলের চিরতরে বিদায় না করা পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ডিগ্রি কলেজ মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘুষ চাইলেই তাকে আইনে দিতে হবে। অন্যায় আমরা করতে দেব না। আওয়ামী লীগ দেশটাকে খোবলা করে ফেলছে। হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা হয়নি। তবে উদ্দেশ্য ছিল ভারতের। আওয়ামী লীগ মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষমা নাই। শেখ হাসিনার ক্ষমা নাই। তার বিচার হবে।
যারা দেশ পরিচালনা করছেন সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করবেন। যেন আবারও খেসারত দিতে না হয়। তাই আমাদেরকেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তাই আগামী নির্বাচন যেন ভাল হয় সে কারণে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান মির্জা ফখরুলের।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো মানুষের ওপর অন্যায়, জুলুম করবেন না,‘তারা (সংখ্যালঘু) আমাদের আমানত। সামনে দুর্গাপূজা আসছে। তাদের জানমাল নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।হিন্দু ভাইরা শান্তিতে যেন পূজা করতে পারে। বাংলাদেশে কোন কোন্দল হয় না। শেখ হাসিনা ভারত থেকে যেন কোন চক্রান্ত করতে না পারে।
আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বছরের পর বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি। আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ে অসংখ্য ছেলেকে গুলি করেছে, অসংখ্য মামলা হয়েছে। বারবার জেলে গিয়েছে আমাদের ছেলেরা, কিন্তু কখনো সত্যের পথ থেকে সরে দাঁড়ায়নি।’
এরপর বিকালে মির্জা ফখরুল জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ডাকবাংলো স্টেডিয়াম মাঠে আরও একটি জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেত্রীবর্গ সহ হাজার হাজার নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর