মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় স্ত্রী ও চাচাতো শ্যালকের মৃত্যুর পর চাচিশাশুড়িও মারা গেলেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মর্তুজা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান আলীর স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩০) ও তার চাচাতো শ্যালক সাটুরিয়া উপজেলার গওলা গ্রামের রুবেল হোসেন (২৮) মারা যান। নিহত গৃহবধূ শারমিনের চাচি সেলিনা আক্তারও (৪৫) মারা যান।
এদিকে, স্ত্রী, চাচাতো শ্যালক ও চাচিশাশুড়ির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে ঝলসে দেওয়া এবং হত্যার দায়ে হাসান আলীকে ওই দিনই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অগ্নিদগ্ধে নিহত শারমিন আক্তার ঢাকার ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের রাজাপুর কয়লা গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী। নিহত সেলিনা সাটুরিয়া উপজেলার গওলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং নিহত রুবেল তাঁদের সন্তান।
জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর আগে ধামরাইয়ের রাজাপুর কয়লা গ্রামের জিন্নাহ খানের ছেলে হাসান আলীর সঙ্গে সাটুরিয়ার গওলা গ্রামের মৃত আতাউর হোসেনের মেয়ে শারমিনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির মো. রায়হান নামের ১০ বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে। কয়েক বছর ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে হাসান তাঁর স্ত্রী শারমিনকে অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন করছিলেন। এতে শারমীন স্বামীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ছেলেকে নিয়ে শারমিন গওলা গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
সাটুরিয়া থানার এসআই গোলাম মর্তুজা বলেন, গতকাল বিকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ শারমিন ও তাঁর চাচাতো ভাই রুবেল মারা যান। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে শারমিনের চাচি সেলিনাও মারা গেছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর