জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করাসহ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে অপরাজনীতি বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন জাতীয় পার্টির রংপুর জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দরা।
স্মারকলিপি প্রদান ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য শাফিউল ইসলাম শাফী, মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুব সংহতি সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মহানগর ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত আসিফ, জেলা ছাত্রসমাজ আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় জাতীয় পার্টির নেতারা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে শিক্ষার্থীদের পক্ষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বাজেট অধিবেশনে প্রথম বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ছাত্রদের যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদে দাবি উপস্থাপন করে তিনি বক্তব্য দেন। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি দলগতভাবে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রদান করে এবং ছাত্রদেরকে মুক্তিসেনা হিসেবে উল্লেখ করে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জাতীয় পার্টি জানিয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ভাবে ছাত্রদের আন্দোলনে সহযোগিতা করেছেন। শুধু তাই নয় রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় যুব সংহতি ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। তাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। কিন্তু ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর একটি মহল শুধু রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে জাতীয় পার্টিকে মিথ্যা ও মনগড়া অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে ঘিরে ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতিও করছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিগত সরকার জাতীয় পার্টির বহু নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছিল। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও জাতীয় পার্টি নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর