দিনাজপুরের সবচেয়ে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ও উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ চিনিকল চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি সেতাবগঞ্জ পৌর শহরের প্রধান প্রধান শহর প্রদক্ষিণ করে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সেতাবগঞ্জ চিনিকল গেটের সামনে অত্র এলাকার কৃষক, শ্রমিক , আখচাষি ছাত্রসমাজ ও সর্বস্তরের জনগনের পক্ষে এই কর্মসূচি পালন করেন চিনিকল পুন:চালনা আন্দোলন আহ্বায়ক কমিটি।
কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে একত্বতা ঘোষণা করেন। এছাড়াও মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা একত্বতা ঘোষণা করেন।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, শুধু রাজনৈতিক কারণে সেতাবগঞ্জ চিনি কলটি সচল অবস্থায় বন্ধ ঘোষণা করে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারীকে বেকার করে দেয়া হয়। আখচাষিদের কাছ থেকে আখের জমি নিয়ে নিয়ে কৃষকদেরও বেকার করে দেয়া হয়। হাজারো মানুষের পেটে লাথি মারা হয়েছে।
এ সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দরা বলেন, সেতাবগঞ্জ চিনি কলটি চালু করার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে। কৃষক নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেনের প্রচেষ্টায় ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ৯১ সালের বছর বয়সী সেতাবগঞ্জ চিনি কলটি ধ্বংস করা যাবে না। অবিলম্বে চিনি কলটি চালুর দাবি জানাই।
সেতাবগঞ্জ চিনি কল পুনরায় চালনা আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক বদরুদ্দোজা বাপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সেতাবগঞ্জ চিনি কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার, বিএনপি নেতা সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম, সেতাবগঞ্জ চিনি কল পুনরায় চালনা আন্দোলন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, ফয়সাল মোস্তাক, অয়ন, সোহাগ, সেলিম, এরশাদ, সারওয়ার, আরমান, মাহিন, নাজমুল, সালমান প্রমুখ
মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে মিলের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও একত্বতা ঘোষণা করেন। কর্মসূচি সহ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ বেকার হয়ে যাওয়া কর্মচারী ও কৃষক অংশ গ্রহণ করেন।
সেতাবগঞ্জ চিনিকল পুনরায় চালনা আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক বদরুদ্দোজা বাপন বলেন,আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টার কাছে সরাসরি গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, মিলটি ২০২০ সালে ১ডিসেম্বর আখ মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এতে নিয়মিত ২৭৫ জন, মৌসুমী ৩০০ জন কে অন্য মিলে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়াও চুক্তিভিক্তিক ও কাজ নাই মজুরি নাই এমন প্রায় ১ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে গেছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর