শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় সরকার ও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণার পর গত দুই দিন বেশিরভাগ কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে বেতন পরিশোধ করতে না পারাসহ অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে এখনও ১৭টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অঞ্চলের কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগ দিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ জানান, গত মঙ্গলবার শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি সরাকার ও মালিকপক্ষ মেনে নেয়ার ঘোষণার পর বুধবার এই অঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলে দেয়া হয়। বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের উভয়পাশে অবস্থিত বন্ধ প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানার অধিকাংশেই কাজে যোগ দেয় শ্রমিকরা। তবে ১৯টি কারখানায় গতকালও (বুধবার) উৎপাদন বন্ধ ছিলো। এর মধ্যে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ১৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ছিল এবং ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিলো।তবে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে ডিইপিজেড নতুন ও পুরাতন জোন সহ শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। যদিও বকেয়া বেতনসহ আরও কিছু সমস্যার কারণে আজও (বৃহস্পতিবার) ১৭ টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব কারখানাতেই উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ৯ টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আরও ৮টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে এসব কারখানা গুলো বন্ধ রয়েছে। যেমন এদের কেউ বেতন পরিশোধ করতে পারছে না, কারও অর্ডার নেই আবার শ্রমিকদের আন্দোলন। সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়া ৮টি কারখানার ৫টিতেই মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা হওয়া ৯টি কারখানার মধ্যে ২টি নন আরএমজি ফ্যাক্টরি। আর বাকী গুলোর মধ্যে ২টিতে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর