পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠপুস্তকে হিন্দুত্ববাদকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। আমাদের ইসলামী মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে বিদেশি শালীনতা বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিয়ে ছিল। যার ফলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা ব্যবস্থা পরিহার করে বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শিক্ষা কমিশন থেকে শালীনতা বিরোধীদের বাদ দিয়ে ইসলামী চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। কোন অবস্থাতেই শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিক্য ও হিন্দুত্ববাদী চলবে না।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাওলানা মামুনুল হক।
তিনি আরও বলেন, সমকামিতার ট্রান্সজেন্ডারের বাংলাদেশ হতে দেওয়া যাবে না। হকের কথা বলতে গিয়ে জালিম সরকারের রোষানলে পড়ে বাংলাদেশের আলেম উলামাদের চরম নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। স্বৈরাচার সরকার প্রতিহিংসা প্রতিরোধ ভোটাধিকার ও বাকশক্তি কেড়ে নিয়ে বাংলার মসনদে বসে একনায়ক তন্ত্র কায়েম করেছিল। ছাত্র জনতার আন্দোলনে পরাজিত হয়ে অবশেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক কঠিন। পরাজিত শত্রুরা বসে নেই। তারা দেশে ঘাপটি মেরে ষড়যন্ত্র করছে। এদের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
মামুনুল হক বলেন, জামিয়া গাফুরিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মাহমুদুল হক আজিজির সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, ইত্তেফাকুল উলামা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল ফজল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, খেলাফত মজলিশ ময়মনসিংহ উত্তর জেলা শখার সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, জেলা দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ রুহুল আমীন, খেলাফত যুব মজলিশ ময়মনসিংহ উত্তর জেলা শখার সভাপতি মাওলানা এনামুল হক, খেলাফত যুব মজলিশ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখা সভাপতি মুফতি ওয়ালি উল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখা সভাপতি মুফতি হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর