বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাদের রক্তের বিনিময়ে আজকের বাংলাদেশ। সেই সব শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন রংপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে শহীদদের কবর জিয়ারত করেছেন তিনি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথমে সাক্ষাৎ করেন নগরীর জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী শহীদ মেরাজুল ইসলামের মা আম্বিয়া বেগমের সাথে। এ সময় কুশল বিনিয়ম শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফল উপহার ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক মেরাজুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন।
এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী জুম্মাপাড়ার আব্দুল্লাহ আল তাহির, পূর্বশালবন এলাকার সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন, নগরীর গণেশপুর এলাকার স্বর্ণ শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন, নগরীর তাজহাট এলাকার অটোচালক মানিক মিয়ার বাড়িতে যান জেলা প্রশাসক। এ সময় জেলা প্রশাসক শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকাসহ শহীদ পরিবারের দায়ের করা মামলাগুলোর ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র, দিনমজুর, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শহীদ হয়েছেন। এর ফলে আজকের নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। আমরা শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের সাথে কুশল বিনিময় করছি। শহীদের রক্ত কখনোই বৃথা যেতে দেয়া হবে না।
শহীদ পরিবার যে-সব মামলা করেছে সেগুলো যেন ঠিকমতো পরিচালিত হয়, বিজ্ঞ আদালতের সাথে আমরা কথা বলবো। রংপুর জেলার ১৯ জনের নামের তালিকা ঢাকায় পাঠিয়েছি। আহতদের তালিকা করা হচ্ছে। যে-সব আহতরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কিংবা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাদের সাথে আমরা যোগাযোগ করবো। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেগুলো প্রতিপালন করছি।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) হাবিবুল হাসান রুমি, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক সালেকুজ্জামান সালেকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর