ফেসবুকে লাইভ দেয়াকে কেন্দ্র করে গুরুদাসপুরের এক সংখ্যালঘু পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল সরকার ও তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। থানায় ডায়েরী করতে গেলেও তাদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মদন শর্মা ও তার পরিবার। মদন শর্মা উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লার স্বর্গীয় সাধন শর্মার বড় ছেলে।

শনিবার বিকেল ৪টায় পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মদন শর্মা বলেন, তিনি গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক লাইভে এসে চাঁচকৈড় বাজারে নীরব চাঁদাবাজি চলছে এমন মন্তব্য করেন।

আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী দুলাল সরকারের নাম উল্লেখ করে লাইভে তিনি আরো বলেন, রাজনীতি করতে হলে আগে মানুষকে ভালোবাসতে শিখুন। ওই লাইভের সূত্র ধরে সাড়ে ১২ টার দিকে বিএনপি নেতা দুলাল সরকারের অনুগত মিন্টু জামাদার ও মিলনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধদল মদনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে। এসময় ইটপাটকেল ছুঁড়েন তারা।

মদন আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার গুরুদাসপুর থানায় ঢুকে সাধারণ ডায়েরী করতে গেলে তাকে বাধা দেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল সরকার ও তার কর্মীরা। এসময় থানার মধ্যে পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু উপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মদন শর্মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এরপরও তাকে বিভিন্নভাবে মারধরের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।

অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকার বলেন, মদন শর্মা ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। প্রতিদিন মদ্যপায়ী অবস্থায় থাকেন তিনি। তার সাথে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, হুমকি দেয়াড় প্রশ্নই আসেনা।

দুলাল আরো বলেন, আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছেন। মদন শর্মার মতো ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে দিয়ে আমার ইমেজ ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

মদন শর্মাকে থানার মধ্যে বাধা প্রদান ও লাঞ্ছিত করার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু। তিনি বলেন, ঘটনা ওসি সাহেবের রুমে। আমি নিবৃত করার চেষ্টা করেছি। দুলাল মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতেই পারেন।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সালাউদ্দিন/সাএ