• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ২৭ মিনিট পূর্বে
প্রচ্ছদ / বিনোদন / বিস্তারিত
বিনোদন ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৩ দুপুর
bd24live style=

সাদিয়া আয়মানের ভাইরাল ইস্যু ধরে যা বললেন মৌসুমী

মৌসুমী হামিদ ও সাদিয়া আয়মান

গত কয়েকদিন ধরেই ছোট পর্দার উঠতি অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের ভাইরাল ভিডিও শোবিজে আলোচনায় রয়েছে। যেখানে অভিনেত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর অংশ দেখানো হয়েছে। দেশের একটি জনপ্রিয় মিডিয়ার সাংবাদিকের ব্যক্তিগত পেজে এই অভিনেত্রীর একটি ভিডিও পোস্ট করা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে তীব্র ট্রোল করার অভিযোগ এবং সেই সাংবাদিকের চাকরি হারানোর অভিযোগ-এটি একটি মোটা দাগের ঘটনা।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোবিজ তারকা থেকে শুরু করে বিনোদন সাংবাদিকরা দুই জনের পক্ষে বিপক্ষে অনেক পোস্ট করেছেন। ফলে ইস্যুতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এবার এই ইস্যু ধরে নিজের জীবনের তিন বছর আগের একটি বিব্রতকর ও গোপন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ।

তিনি তার ফেসবুক আইডিতে এক লম্বা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ওই পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেন। মৌসুমী বলেছেন, ‘অবাক হয়েছি যারা সাদিয়া আয়মানের ভিডিও দেখে পোস্ট করেছেন, ‘ভিডিও তে তো তেমন কিছুই দেখা যায় নাই, তাদের উপর।’

মৌসুমী হামিদ লিখেছেন, ‘প্রায় ৩ বছর আগের কথা। পুবাইল শুটিং করছি, বেশ রাত হয়েছে কিন্তু অনেক কাজ বাকি। সাধারনত আমারা যখন আউটডোরে শুটিং করি তখন কাজের চাপ থাকে বেশি এবং শুটিং লোকেশন আর মেকাপ রুম বা চেঞ্জিং রুম বেশ দূরে থাকে। বার বার কাপড় পাল্টাতে বেশ কষ্ট হয় এবং সময়ও বেশি লাগে। রাত ১২.৩০ প্রায়, আমি যেখানে শুটিং করছিলাম তার পাশেই একটা মাটির ঘর ছিল যে ঘরে লাইটের কিছু জিনিস পত্র রাখা ছিল। পরিচালক আমাকে খুব করে অনুরোধ করলেন, বার বার মেকাপ রুমে যেয়ে চেঞ্জ করতে যেই সময় লাগছে সেই সময়টাও নেই। আমি যদি অনুমিত দিই তাহলে আমার কাপড়ের ব্যাগটা ঐ মাটির ঘরে আনার ব্যাবস্থা করবেন, তাহলে ওখানেই আমি চেঞ্জ করতে পারব। আমি বললাম ঠিক আছে। যদিও সেই ঘরটা মোটেও আরামদায়ক বা সেফ নয়। তার উপর দেখি দরজার ছিটকিনিও নাই। আমি বললাম তাহলে কিভাবে হবে?

তখন ক্যামেরায় যিনি ছিলেন উনি বললেন, তুমি টেনশন নিও না। আমি বাইরে পাহারা দিচ্ছি। আমি ওনার কথা বিশ্বাস করে ঐ মাটির ঘরের সব জানলা বন্ধ করে দরজা চাপিয়ে দিয়ে শাড়িটা পরা শুরু করব, ঠিক তখনি লাইটের একটা ছেলে হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়ে। আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। খুব অস্বস্তিকর অবস্থা। ছেলেটা প্রচন্ড ভয় পেয়ে বের হতে হতে বলল, সরি আপু আমি জানতাম না আপনি ছিলেন। তখন প্রচন্ড রাগ হল ক্যামেরা পার্সনের উপর। চিৎকার দিলাম একটা। আমি সহযোগিতা করার জন্য এমন একটা জায়গায় কাপড় পাল্টাতে রাজি হলাম কারণ আমাকে কথা দেওয়া হয়েছিল বাহিরে একজন দায়িত্ব নিয়ে পাহারা দিবে। কিন্তু ছেলেটা উঠান পার হয়ে ঘরে ঢুকে গেল কেউ ওরে বলল না যে ঘরে আমি আছি।

আমি যখন ঘরের ভিতর থেকেই চিৎকার করছি ইউনিটের উপর তখন সেই চিত্রগ্রাহক বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো, আরে বাদ দে তো। ও তো ঢুকেই বের হয়ে আসছে, এইটুকু সময় আর কি দেখছে! ঐ ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বললো, ঐ তুই কিছু দেখছোস? এরপর অসভ্যর মত হাসতে লাগলো। ছেলেটা কোন উত্তর দিল না।

আমার শরীরের যতখানি অংশ দেখা গেছে সেটা তেমন কোন বিষয়ই না। আমি নাকি ওভার রিএক্ট করছি। এই কথা শোনার পর আমি বের হয়ে জীবনের সর্বোচ্চ রিঅ্যাক্ট সেদিন করেছি সেটে। আমার কলিগের কাছে আমার ‘সম্ভ্রম’ এতটা তুচ্ছ? পরিবার ছেড়ে দিনের বেশিরভাগ সময় যাদের সাথে কাজ করি তারা এইভাবে তাদের দায়িত্বহীনতা জাস্টিফাই করবে?

সেটের বেশির ভাগ মানুষের কাছে মনে হয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার পরও নির্লজ্জের মত ওনার ঐ খ্যাক খ্যাক হাসায় আমি যে রি-অ্যাকশন দিয়েছি সেটা বেশি বেশি ছিল। সবাই তার অ্যাকশনকেই জাস্টিফাই করে গেল।

কিন্তু পরিচালক আমার চিৎকার শুনে সেখানে এসে পুরো ঘটনা শুনে ঐ চিত্রগ্রাহকে সেট থেকে বের করে দেন এবং উনি নিজেও ভুল বুঝতে পেরে সরি বলেন।

আমি পুরো ঘটনা ওনাকে বলে ওনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তোমার পরিবারের কোন মেয়ে এমন অবস্থায় পড়লে দায়িত্বরত মানুষটা দায়িত্ব পালন না করে উল্টা যদি এমন করে রসায় রসায় হাসত, তারপর প্রচন্ড অপমান বোধে যদি তোমার নিজের মেয়ে বা বোন বা তোমার বউ যদি রিএক্ট করত, তুমি কি বলতে তোমার মেয়ে কে ‘মামনি ওভার রি-অ্যাক্ট করতেছো কেন?

আমি বেশি অবাক হয়েছিলাম সেটে ঐ দিন ঐ চিত্রগ্রাহকের দায়িত্বহীনতা ও অসভ্যতাকে যারা জাস্টিফাই করছিলেন তাদের উপর। আবারও অবাক হয়েছি যারা সাদিয়া আয়মানের ভিডিও দেখে পোস্ট করেছেন, ভিডিও তে তো তেমন কিছুই দেখা যায় নাই, তাদের উপর।

যিনি ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তার জন্যে আমার কিছুই বলার নাই। উনি ভিডিও ডিলিটও করেছেন। আমি সাধুবাদ জানাই। কারণ আমি ওনাকে যতটুকু চিনি, উনি একদমই ক্ষতিকারক মানুষ নন। বেশ বন্ধুসুলভ হাস্যজ্জল এবং প্রচন্ড পরোপকারি মানুষ। আমি বিশ্বাস করতে চাই না উনি উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে এমন কাজটা করেছেন। লুকিয়ে বা গোপন ক্যামেরায় তো নয়ই বরং উনি অনুতপ্তই হয়েছেন বলে আমি মনে করি। কিন্তু সর্বনাশ যা হওয়ার তো হয়ে গেছে। ভিডিও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গেছে এবং মানুষের ট্রলিং তো বন্ধ হয়নি।

কিন্তু যারা বলছেন, এই ভিডিওতে তেমন কিছুই দেখা যায় নাই তাদের জন্য প্রশ্ন আছে, এই তেমন কিছুই না দেখা ভিডিওটির কারনে যে পরিমাণ নোংরা, অসভ্যতা, বুলিং, বডি শেইম, রেপ থ্রেট মেয়েটাকে সহ্য করতে হয়েছে বা এখনো হচ্ছে, সেটা যদি আপনার পরিবারের কোন মেয়েকে সহ্য করতে হয়, আপনি সেটা দেখার জন্য প্রস্তুত আছেন তো?’

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com