![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নে টিসিবি'র কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে পিকনিকের আয়োজন করে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার বনমালী রায়। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নে এক হাজার ৫৯৭জন সুবিধা ভোগীদের মাঝে টিসিবি'র কার্ড বিতরণ করা হয়।
এসব কার্ড ধারীরা কেউ দু'বার, কেউ চার বার এবং কেউবা এক বছর পণ্য কেনার পর কার্ডগুলো সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বাররা ফেরত নিয়ে অন্যত্র প্রদান করেন। অনেকে অভিযোগ করেন গত ইউপি নির্বাচনে মেম্বারের পক্ষে কাজ না করায় কার্ড গুলো ফেরত নেন। আবার অনেকে বলেছেন টাকার বিনিময়ে মেম্বার কার্ডগুলো অন্যত্র বিক্রি করে দেন।
সরজমিন গিয়ে জানা গেছে, টিসিবি'র কার্ড বিতরণের অনিয়মকে ধামাচাপা দিতে এলাকার ছেলেদের একটি গ্রুপকে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেন ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার বনমালী রায়। ৯নং ওয়ার্ডের শালমারা বসুনিয়া পাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বিমল চন্দ্র রায় জানান, আমার এবং আমার ভাই অমল চন্দ্র রায়ের নামে টিসিবি'র কার্ড ছিল। এক বছর ধরে কার্ডের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করি।
এরপর মেম্বার বনমালী রায় কার্ড দুটি নিয়ে যায় তখন থেকে আর পাই না। বাবু রাম রায় জানায়, আমি দু'বার পণ্য উত্তোলন করি। আমার কার্ডটিও নিয়ে গেছে। আমি গত নির্বাচনে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি তাই।
একই কথা জানালেন শালমারা হাড়ি পাড়া গ্রামের বিনোদ কুমার রায়, বাফই চাঁদ রায়ের ছেলে জগেন চন্দ্র রায়, কুমার রায়ের ছেলে রাজেন্দ্র নাথ রায় ও প্রভাত রায়ের স্ত্রী রাধারাণী রায়। তাদের সবার নামে টিসিবি'র কার্ড ছিল। এখন তাদের কারো টিসিবি'র কার্ড নাই। তারা জানান, আমাদের কার্ডগুলো মেম্বার নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয়নি। তারা সবাই ভোটের সময় অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোটা ইউনিয়নে একই অবস্থা বিরাজ করছে।
নিলাহাটি বাজার এলাকার পল্লি চিকিৎসক নাছির উদ্দীন, নুর ইসলাম ও আবুল হোসেন জানান, টিসিবি'র কার্ড বিতরণের অনিয়মের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মেম্বার বনমালী রায় পিকনিকের আয়োজন করেন। এছাড়াও মোটা অঙ্কের টাকা প্রদান করেন। আমরা চাই প্রকৃত কার্ড ধারীরা পণ্য উত্তোলন করুক। কোন অনিয়ম যেন না হয়।
এ ব্যাপারে মেম্বার বনমালী রায় জানান, এলাকার কিছু যুবক পিকনিক খেতে চায়। আমি সেখানে অংশ গ্রহণ করি।
হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। তবে পিকনিকের বিষয়টি আমি জানি না।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর