নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র(এনআইডি) সার্ভারে দুটি কারণে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩০১ জন ভোটারকে ডিফল্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি) জানা গেছে, ডিফল্ট ভোটারের মধ্যে দ্বৈত ভোটারে সংখ্যা রয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন।
এছাড়া ম্যাচ ফাউন্ড(অন্য ভোটার সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মিলে যাওয়া) এমন ভোটারের সংখ্যা রয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৩ টি। এ দুই ক্যাটাগরি ভোটারকে একত্রে `ডিফল্ট ভোটার' হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসির কর্মকর্তারা। বিষয়গুলো নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির এক সমন্বয় সভাতেও আলোচনা হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান,এক্ষেত্রে এসব নাগরিকদের প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রটি(এনআইডি) বহাল রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। আর ম্যাচ ফাউন্ডের (অন্য ভোটার সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মিলে যাওয়া) ক্ষেত্রে ব্যক্তি যদি দ্বিতীয়বার ভোটার না হয়ে থাকেন (False ম্যাচ) সে সকল আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা নতুন করে বায়োমেট্রিক গ্রহণ করে তা সমাধান করবে।
দ্বৈত ভোটার বিষয় জানতে চাইলে ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো.মাহবুব আলম তালুকদার জানান,দ্বৈত ভোটার হলে সে কোনো না কোনো এক সময় ধরা খাবে।কারণ যেকোনো একটি সুযোগ সুবিধা নিতে হলে তার এনআইডি আমরা কম্পেয়ার করি।আর কম্পেয়ার করতে গেলে ধরা পড়বে তার আরেকটি এনআইডি আছে।
দ্বৈত ভোটার দুইবার ভোট দিতে গেলে আপনাদের ভোটার তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তালিকা তো আমরা এখনো ফাইনাল করিনি। আমরা তালিকা ফাইনাল করতে গেলে আমরা ওই ম্যাকানিজম করব যাতে তারা দুইবার ভোট দিতে না পারে। এছাড়া দ্বৈত ভোটারের ক্ষেত্রে যে সময় আমাদের কাছে রিপোর্ট হয় আমরা ওটা লক করে দেই।
ম্যাচ ফাউন্ড (অন্য ভোটার সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মিলে যাওয়া) বিষয়ে এনআইডি অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান,বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় যারা ডাটা এন্ট্রি করেন, তারা বেশি ইনপুট দিলে বেশি টাকা পাবেন- এই সুবিধার কারণে তাড়াহুড়ো করেন। ইসির নির্দেশনা হচ্ছে আঙুলের ছাপ যেন কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নেওয়া হয়।
কিন্তু তাড়াহুড়োর কারণে অনেকেরই ৬০ শতাংশের কম ছাপ নেওয়া হয়ে যায়। পরবর্তীতে এই ধরনের নাগরিকের আঙুলের ছাপ অন্যদের সঙ্গে মিলে যায়। ফলে বিভিন্ন সেবা পেতে বিড়ম্বনায় পড়েন তারা। আবার চর্মরোগ, বেশি কাজ করার কারণে অনেকের আঙুলের ছাপ পাওয়া যায় না, তাদেরও একই সমস্যায় পড়তে হয়।
কর্মকর্তারা বলছেন, ম্যাচ ফাউন্ডের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরাসরি উপস্থিত হয়ে ফের আঙুলের ছাপ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে এনআইডির সঙ্গে তার আঙুলের ছাপের শতকরা হার বেশি হবে, সেটিই তার এনআইডি হিসেবে প্রমাণিত ধরা হয়।
এনআইডি সেবা নিয়ে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, এখন আমরা এই সেবাটি শতভাগ নির্ভুল করার চেষ্টা করছি। এজন্য মাঠ কর্মকর্তাদের মনিটরিং করারও সিদ্ধান্তও হয়েছে।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার র ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। তবে হালনাগাদ কার্যক্রমের বাইরেও অনেকে ভোটার হয়েছেন। এক্ষেত্রে বর্তমানে প্রকৃত ভোটার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর