সুনামগঞ্জের শাল্লায় উপজেলায় শাহীদ আলী মডেল পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফ মাহমুদ দুলালের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিলটি করা হয়েছে।
রবিবার(২৯ সেপ্টেম্বর)দুপুরে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে মিছিলটি বের হয়। শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে থানা রোডে এসে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ ভবনে এসে সবাই একত্রিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে পাঠাগার বন্ধ কেন জবাব চাই জবাব চাই আইসিটি ল্যাব বন্ধ কেন ? জবাব চাই জবাব চাই এসব স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনের কার্যালয়ে গিয়ে তারা আরিফ মাহমুদ দুলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো তুলে ধরেন।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাহা উদ্দিন বাহার শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের হেড স্যার তার পরিবার ও ভাইকে নিয়ে স্কুলের একটি বিল্ডিংয়ে দশ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। কিন্তু এক টাকাও ভাড়া দেননি। বিদ্যালয়ের ল্যাব সংস্কারের জন্য প্রতি বছর আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু এখনো ল্যাব সংস্কার করা হয়নি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামেও টাকা নেওয়া হয় কিন্তু কোনোদিন ওই স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করা হয়নি।
শিক্ষার্থীরা আরও জানায়,আমাদের বিজ্ঞানাগার উন্নয়নের জন্য ৮২ হাজার টাকা এসেছে। কিন্তু সেই টাকার কোন হদিস নেই। আমরা কম্পিউটার ল্যাবে কোনোদিন কাজ করবো দূরের কথা সংস্কার না করায় সেখানেও কোনোদিন ঢুকতেও পারিনি। আমাদের পূর্ববর্তী ব্যাচ সহ এই সমস্যা দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে। আমরা এর সংস্কার ও প্রতিকার চাই। তিনি বলেন এসব নিয়ে মুখ না খোলার জন্য রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে আমাদের হেড স্যার অন্যান্য শিক্ষকদের হুমকি দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী সরাভ দাস বলেন,আমি এই স্কুলে পাঁচ বছর ধরে পড়াশোনা করে আসছি কিন্তু কোনোদিন বিজ্ঞানাগার বা আইসিটি ল্যাবে ঢুকতে পারিনি। গত বছর পরীক্ষার সময় বিদ্যুৎ চলে যায় স্কুলে জেনারেটরের ব্যবসা থাকলেও আমাদেরকে অন্ধকারে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। কোন শিক্ষক হেনস্তার শিকার হউক কখনো আমরা সে ধরনের কাজ করবো না। এসবের সংস্কার ও আমাদের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফ মাহমুদ দুলাল বলেন একটু পরে কথা বলবো। এর পরেও যোগাযোগ করেও তাকে আর পাওয়া যায় নি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন দুলাল মাস্টার সম্পর্কে সবাই জানে। তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা ইউএনও'র সাথে কথা বলুক,আমিও ইউএনও'র সাথে কথা বলবো। লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত মো. আলাউদ্দিন জানান,শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসছিল, আমি তাদের অভিযোগ গুলো শুনেছি। তারা লিখিত ভাবে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর