
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জন্যই আমাকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি গিয়ে সবসময় আলোচনা করতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। সবসময় শুধু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানদের দেখে মনের খোরাক মিটবে না; আমি তোমাদেরকেও দেখতে চাই। উপাচার্যের চেয়ারের কোনো দাম নেই যদিনা তোমাদের জন্য কাজ না করতে পারি। কেননা, এই চেয়ার ক্ষমতার নয় বরং দায়িত্বের । আমি দায়িত্ব নিয়েছি তোমাদের আশাহত করার জন্য নয়; তোমাদের সাথে বসা ও কথা বলা ও শুনার জন্য। এই কাজ করতে গিয়ে আমি কখনো ব্যক্তিগত কাজকে প্রাধান্য দিবো না।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল স্টেক হোলডার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাই আমি এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই না যেখানে শিক্ষার্থী নেই বরং এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই যেখানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গর্ববোধ করা যায়। ছাত্রদের অবজ্ঞা করে একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল বিশ^বিদ্যালয় গঠন করা সম্ভব নয়। তোমাদের মাধ্যমে যে প্রস্তাবগুলো পেয়েছি সেগুলো আমার কাজকে সঠিক পথে পরিচালনা ও সহজ করবে। আমার কাজ হবে আইন অনুসারে। কারণ আইন যদি চলে তাহলে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সবাইকে সমানভাবে দেখা হবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, আমার কাজ উন্নয়ন করা। আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাঙ্গণ চাই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যদিও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, তবে তার মূলমন্ত্র হলো ইসলামী শিক্ষা ও জাগতিক শিক্ষার মাঝে সমন্বয় করা। এ দুটির একটিকে বাদ দিলেও সুন্দর সমাজ গঠনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হবে না। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. নকীব বলেন, তোমরা অনেকে ছাত্র রাজনীতিতে অনেক সময় ব্যয় করো। তবে তোমাদের মনে রাখতে হবে যে, তোমাদের মূল পরিচয় ছাত্র। শুধু ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে তোমরা সময় নষ্ট করো না। যদি সময়ের সাথে জীবনকে না বাধো, তাহলে পিছিয়ে যাবে। তাই সময়কে গুরুত্ব দাও।
মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করা থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি, প্রশাসন ও বিভাগ সংক্রান্ত, পরিবহণ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ ১৪টি দপ্তরের ৪৬টি সংস্কার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উন্মুক্ত প্রস্তাবনায় উপাচার্য বরাবর বিভিন্ন ধরনের দাবি জানান।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর