মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ২৬নং মানিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকারিয়া খানের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর পরিবার।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) যৌন হয়রানির বিষয়ে জাকারিয়া খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে এই লিখিত অভিযোগ করেন দুই শিক্ষার্থীর পরিবার। এর আগে মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাধানের জন্য বসলেও এলাকাবাসীর তোপের মুখে বিষয়টি আর আগায় না।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জাকারিয়া খান চতুর্থ শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে ঐ বিদ্যালয়ে এবং তার বাড়িতে টিউশনের সময়ে প্রায়ই ওই ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। একাধিকবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে। গত কয়েকদিন আগে ওই ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ করলে, তারা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে পরিবারেকে বিষয়টি জানায়।
এছাড়া জাকারিয়া খান কয়েক বছর আগেও এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে ছয় মাসের জন্য চরাঞ্চলে ডেপুটেশনে চলে যায় এবং টাকা পয়সা ও রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। বর্তমানে সে পুনরায় পূর্বের রূপে ফিরে এসেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়। তাই জাকারিয়া খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়।
দুই ছাত্রীর পরিবার বলেন, তিনি এ ঘটনা নিয়ে ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাতে বিএনপির রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে। আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক ভাবে বসে সমাধানের কথা বলেন। পরে শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে বসলেও উপস্থিত ক্ষুব্ধ জনগণের চাপে বিচারকেরা কোন সমাধান না দিয়ে চলে যান।
তাই বিষয়টি নিয়ে কোন সমাধান না হওয়ায় আমরা লিখিত অভিযোগ করি। আমাদের দাবি তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক, নইলে আমাদের সন্তানেরা আর ওই বিদ্যালয়ে যেতে পারবেনা।
এক ছাত্রীর মা বলেন, স্যার এইরকম অনেকবারই করছে, আমার মেয়ের সাথেও করছে। অন্য মেয়েদের সাথেও করতে পারে। আমরা তাই তার সুষ্ঠু বিচার চাই, যাতে অন্য কোন মেয়ের সাথে যেনো এমনটা আর না হয়।
মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে অভিযুক্ত শিক্ষক জাকারিয়া খান বলেন, বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। এগুলোর কোন ভিত্তি নাই। তারপরও যেহেতু অভিযোগ এসেছে, আমি বিষয়টি নিয়ে বসে একটা সমাধানের চেষ্টা করবো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা আখতার বলেন, গতকালই আমি তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হবে, তদন্তে ঘটনাটি যদি প্রকৃতই হয়। অবশ্যই এর শক্ত পানিশমেন্ট দেয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর