জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে আগামী ২০ অক্টোবর পালিত হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানার্থে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এবছর কোনো ধরনের কনসার্ট আয়োজন করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় এ কথা জানান তিনি৷ এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে কনসার্ট না হওয়ার ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি ভাগ দেখা গেছে। কেউ কনসার্টের পক্ষে কথা বলছেন, কেউ বিপক্ষে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে কনসার্ট হওয়া চাই, বছরে একদিন আমরা আনন্দ, উদ্যাপন করে একটা ভালোবাসার সম্পর্কে মেতে উঠবো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিতে তাও যদি বন্ধ করে দেয় অজুহাতে, তাহলে খুব দুঃখজনক! কনসার্ট হতে হবে এবং পারলে প্রশাসন বিরিয়ানি খাওয়ার ব্যবস্থা করুক।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের হৃদয়ে এখনো রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জুলাই বিপ্লবে আমরা যাদেরকে হারিয়েছি তাদের হয়ত আমরা আর কখনো ফেরত পাবো না। যারা আহত অবস্থায় এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে তাদের কথা যদি আমরা চিন্তা করি, নিজেকে ঠিক রাখতে পারাটা অসম্ভব।
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে আমরা কিভাবে আনন্দে মেতে উঠি। আনন্দ তো আমরা করতেই পারব সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে। তবে এই মুহূর্তে নয়। আমরা চিন্তা করতেছি যতদ্রুত সম্ভব একটি সমাবর্তনের আয়োজন করা। তখন আমরা সকলে মিলে আনন্দ উপভোগ করতে পারব।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে সভায় উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক নূর-নবী, তিনি তার ফেসবুক পোস্টে জানান, আমাদের পক্ষ থেকে কনসার্টের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিল। তাছাড়া প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল মধ্যাহ্ন ভোজের। কিন্তু কোনটাই আমলে নেওয়া হয়নি। তবে হ্যাঁ, আমাদের একটা প্রস্তাবনা শুধু গৃহীত হয়েছে। (শিক্ষা, ঈমান, শৃঙ্খলা) বিশ্ববিদ্যালয়ের মোটো। যা আবার বিশ্ববিদ্যালয় লোগোতে পুনঃস্থাপন করা হবে।
এ সময় সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানরাও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে কনসার্ট না করার পক্ষে মত দেন। তবে বিগত বছরগুলোর ন্যায় র্যালি, বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি হিসেবে নাটক, ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের আয়োজন করা হবে। একই সাথে ঐদিন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বরণ করা হবে৷
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর