
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় আকস্মিক নদী ভাঙ্গনে বসতবাড়ি হারিয়েছে অনেকে পরিবার। উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর পূর্বপাড়া গ্রামে নদী ভাঙ্গনে বসতবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে ২০ থেকে ২৫টি পরিবার। গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ও মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আকস্মিক এ নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয় পরিবারগুলো।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.সবিবুর রহমান ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এছাড়া তীরবর্তী একটি মসজিদসহ অনেকগুলো পরিবার রয়েছে মহা আতঙ্কে। অনেকের ফসলি জমিও বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। অতি দ্রæত নদী শাসনের ব্যবস্থাসহ পুরর্বাসনের দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।
ভুক্তভোগীরা জানায়, আকস্মিক এ নদী ভাঙ্গনে মুহূর্তের মধ্যে গ্রামের রোকেয়া বেগম, রিপনা বেগম, ঝর্না বেগম, কালু সরদার, ইমদাদ মাস্টার, মাহাবুর ফকির, জনি শেখ, রিলু ফকির, মাকসুদ ফকির, মহাদত শেখ, শহিদুল মোল্যাসহ ১১টি পরিবারের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে আরো ১৫ থেকে ১৬টি পরিবার কিছু মালামাল সরাতে পারলেও রক্ষা হয়নি বসতভিটা।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.সবিবুর রহমান বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে সরেজমিনে এসেছেন। এখানকার ভাঙ্গনের প্রবণতা কী ভাবে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে ব্যবস্থা নিবেন এবং শীঘ্রই নবগঙ্গা নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর