জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় গেলো আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকি খেয়েছে ৭ লক্ষ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো.মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান,গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে ৭ লাখ টাকার মত ফাও খেয়েছে। পরবর্তীতে আর টাকা দেয়নি। এখন তাদের সবাই পলাতক। ক্যাম্পাসে আসেন না। কাফেটেরিয়া পরিচালক জানায়, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা।
এছাড়াও বাকির হিসেবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের আরো অন্তত পাঁচ নেতা-কর্মীদের নামে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যান খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসানের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা।
সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরো দুই নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার টাকা ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই সাত নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ৬ লাখ ৪১হাজার টাকা। এছাড়া অনেকে বাকি খেলেও হিসাব নেই তার।
কাফেটেরিয়া পরিচালক মো.মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছে তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেয়নি। এর বাইরে আরো অনেকে আছে যারা টুকটাক খেয়েছে, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা ফিতো না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যান্টিনের ওয়েটারদের মারধরও করেছে সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।
তিনি আরো বলেন, এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। তার উপর এতো টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এতো টাকা এখন কীভাবে উঠাবো আর কীভাবে আমি এই লস পূরণ করব?
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর