![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
চারিদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার ছাপ, পথে পথে ছাত্র জনতার আন্দোলন। এ সময় ঢাকার মোহাম্মদপুরে একজন বাবা ও তার ১১ বছরের ছেলে সহ নিজেদের ছোট দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত। এদিন শুক্রবার থাকাতে বাবা-ছেলে নিজেদের মতো সময় কাটাচ্ছিল। সোসাইটির গেট বন্ধ থাকায় নিরাপদেই ছিলেন তারা।
কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় দ্রুত, আন্দোলনরত জনতার সাথে শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ। এ সময় একদল ছাত্র-জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে সেই সোসাইটির ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এরপর সোসাইটির দারোয়ান তাদের নিরাপত্তার জন্য গেট খুলে দিলে ছাত্র-জনতা সেই সোসাইটির ভিতরে প্রবেশ করে। তাদের পিছু নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুড়তে থাকে। মিনিটের মধ্যেই পরিবর্তন হয়ে যায় পুরো এলাকার পরিস্থিতি। টিয়ারসেলের ধোয়ায় ছেয়ে যায় চারিদিক। আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে যায় সবাই, সেই সঙ্গে বাবা ছেলেও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুইজনই আহত হয় রাবার বুলেটের আঘাতে।
আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকার পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে। কিন্তু, সেসময় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মতো নগদ অর্থ তাদের পরিবারের কাছে ছিল না। আর দেশ জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাচ্ছিল না এবং কার্ড দিয়েও কোন প্রকার লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছিল না। সেই মুহূর্তে কীভাবে সবকিছু সামলাবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না আহতের স্ত্রী। এ সময় তিনি তার স্বামীর এক কলিগকে ফোন করে তাদের অবস্থা জানায়। তার কলিগ অফিসের এইচ আর কে ফোন করে এই পরিস্থিতির কথা বললে, এইচআর থেকে গার্ডিয়ান লাইফের ক্লেইম ডিপার্টমেন্টের সাথে যোগাযোগ করে। গার্ডিয়ান লাইফ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেয় এবং হাসপাতালের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে গার্ডিয়ান লাইফের গ্যারান্টি অফ পেমেন্টের (জিওপি) আওতায় যে সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেগুলো প্রদান করার ব্যবস্থা করতে বলা হয়। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে যেহেতু ই-মেইল করা সম্ভব হচ্ছিল না; তাই হাসপাতালকে গার্ডিয়ান লাইফ অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে মোবাইলে এসএমএস ও কলের মাধ্যমে আহত দুইজনের প্রয়োজনীয় সকল সেবা প্রদান নিশ্চিত করে।
হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে বাবা-ছেলে দুজনই। তাদের পরিবার এর সংকটময় সময়ে পাশে থাকার জন্য গার্ডিয়ান লাইফকে ধন্যবাদ জানায়। আহতের স্ত্রী বলেন, যখন মনে হচ্ছিল আর কোন উপায় নেই, তখন গার্ডিয়ান লাইফ আমাদের গার্ডিয়ান হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। যে কোন বিপর্যয়ে, দেশের যে কোন পরিস্থিতিতে গার্ডিয়ান লাইফ তার গ্রাহকের পাশে থাকে। “সবার জন্য বীমা” প্রতিশ্রুতি নিয়ে গার্ডিয়ান লাইফ তার গ্রাহকদের সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর