
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১১টি হল ও ১টি হোস্টেলে মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হতে ২ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তারিখ (চবি) রাত ৮ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল থেকে এই আবেদনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে সাধারণ মেধাতালিকা ও বিভিন্ন কোটা মিলিয়ে প্রায় ৩৬০০ শিক্ষার্থী আসন বরাদ্দ পেয়েছে।
এর বিপরীতে অপেক্ষমান তালিকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০,০০০। আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খ্যাতি রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু এখানে শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে যথেষ্ট অপ্রতুলতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট শিক্ষার্থীর ২০ শতাংশেরও কমের জন্য রয়েছে আবাসন সুবিধা। এতে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।
আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও আবাসনের দিক থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিচের সারিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা খুবই জরুরী। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে নতুন আবাসিক হল নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য ৯টি হল, ছাত্রীদের জন্য ৬টি হল এবং চারু ও কারুকলার শিক্ষার্থীদের জন্য ১টি হোস্টেল রয়েছে।
আবাসিক হলে আসন বরাদ্দের ফলাফল নিয়েও শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা যাচ্ছে নানা প্রতিক্রিয়া। অনেকে মনে করছেন, শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেওয়াটা ঠিক হয়নি। মেধার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা ও বাড়ির দূরত্বের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ছিল।
আবার অনেকের মতে বিভাগ ভিত্তিক আসন বরাদ্দ দেওয়া উচিত ছিল। বিভাগ ভিত্তিক আসন বরাদ্দ না দেওয়ায় একই বিভাগ থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর আসন বরাদ্দ পেয়েছে। আর কিছু বিভাগ থেকে হাতে গোনা অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী আসন পেয়েছে। তাদের মতে আসন বরাদ্দের নীতিমালায় সময়োপযোগী পরিবর্তন আনা দরকার। নইলে অনেক শিক্ষার্থী বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর