চট্টগ্রামে বন্ধুর সাথে নতুন প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে এমন সন্দেহে কৌশলে নির্জন এলাকায় ডেকে নিয়ে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাতে খুন করলে প্রেমিক। ৬ ঘণ্টার সফল অভিযানে পলাতক প্রেমিক মো. তারেক (২০)কে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন এডিসি কাজী মো. তারেক আজিজ।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাঁচলাইশ থানার হাদুমাঝিপাড়ার মুছা বিল্ডিংয়ের সামনে ওই প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে কথাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত করে প্রেমিক। মেয়েটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় প্রেমিক।
থানা সূত্রে জানা যায়, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে শুরু হয় সন্দেহ। গত দুই মাস ধরে চলছিল মনোমালিন্য। বন্ধুর সঙ্গে নতুন প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে এমন সন্দেহে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে প্রেমিক।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রেমিকাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন প্রেমিক মো. তারেক। ঘটনার পর পালিয়ে অবস্থান নেন রাঙ্গুনিয়া থানাধীন চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায়। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, গার্মেন্টসকর্মী সামিরার সাথে রাজমিস্ত্রি তারেকের প্রেমের সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গতকাল রাতে সামিরাকে ফোন করে দেখা করার জন্য ডেকে নেয়। তারেক অবশ্য আগে থেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে একটি ছুরি কিনে তার সাথে রাখে। হাদুমাঝির পাড়াস্থ মুছা বিল্ডিংয়ের সামনে বিলের পাশে দেখা হওয়ার পর সম্পর্কের বিষয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় তারেক সামিরার সাথে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে সন্দেহে ঝগড়া করতে থাকে। একপর্যায়ে তারেক সামিরার গলায় একের পর এক ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতলে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহত সামিরার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দায়েরের পর তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিবাগত রাত ৩টায় রাঙ্গুনিয়া থানাধীন চন্দ্রঘোনার লিচুবাগান আহমদুল হকের কলোনি থেকে তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে একটি ছোরা ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর