শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্যায় আরও দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় এ উপজেলায় গত দুদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হলো।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের কুতুবাকুড়া গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরের দিকে তারা দুজন পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন।
সর্বশেষ মারা যাওয়া দুজন হলেন- উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের অভয়পুর গ্রামের মৃত বাছির উদ্দিনের ছেলে হাতেম আলী (৩০) ও আলমগীর হোসেন (১৬)। এর আগে গত শুক্রবার মারা যান তিনজন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রানা বলেন, নালিতাবাড়ীতে আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১২৩টি। এর মধ্যে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, পানিবন্দি মানুষদের সঠিকভাবে উদ্ধার করতে সফল হয়েছি। অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সর্বশেষ খবর