বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে "বৈষম্য বিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার" নামে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। কেন তাদের দলের নাম ব্যবহার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে করলো এ অভিযোগও তুলছে অনেকে। নিজেদের পরিচয় গোপন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আন্দোলন হাইজ্যাক করারও অভিযোগ তুলছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্য বিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার" নামক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপি পন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদাদলের কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর ড. ইমরানুল হক ও সদস্য সচিবের দায়িত্বে ড. নাছির আহমাদ। যিনি সাদাদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছে। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন সাদাদলের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. জমির হোসেন ও সাদা দলের দপ্তর সম্পাদক ড. মেজবাউল আজম সওদাগর।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে ক্যাম্পাসে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বিএনপিপন্থি শিক্ষকেরা এই কমিটিতে নিজেদের পরিচয় গোপন করে নতুন নামে প্রকাশিত হওয়াতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিব্রত। পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে ক্যাম্পাসে কোন কার্যক্রম চালাবে সে পরিস্থিতি আছে বলে আমি মনে করি না।
রাকিবুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, জবি সাদাদল ও ছাত্রদল মিলে জবি সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য এবং তারাই প্রতিষ্ঠানে মূল শক্তি প্রমাণ করার জন্য এই ধরনের প্রচেষ্টা শুরু করেছে। জবি সংস্কার আন্দোলন জবির শিক্ষার্থীদের প্রাণের আন্দোলন। এটি নিয়ে কাউকে অপতৎপরতা চালাতে দেয়া যাবেনা। বৈষম্য বিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আন্দোলনে যে-সব শিক্ষার্থীদের দেখা যায় তারা সকলেই ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পর তাদের অনেকেই আত্মগোপন চলে যায়। পাঁচ আগস্টের পর তারা আবার প্রকাশ্যে এসে প্রকৃত আন্দোলনকারীদের নানা ভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ও নবগঠিত বৈষম্য বিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের আহ্বায়ক ড. ইমরানুল হক বলেন, আমরা প্রথমে উদ্যোগ নিয়েছি। পরে যেকেউ চাইলেই আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারে। তবে কমিটির দায়িত্বে থাকা সবাই বিএনপিপন্থি সাদা দলের কমিটির পদে আছে। তবে সরাসরি সাদা দলের ব্যানারে না করে ভিন্ন ব্যানারে কর্মসূচি করার কারণ জানতে চাইলে ইমরানুল হক বলে, আমরা এটাকে দলীয় কোন প্রোগ্রাম হিসেবে সম্বোধন করতে চাচ্ছি না। তাই দলীয় ব্যানার বাদ দিয়ে ভিন্ন ব্যানারে প্রোগ্রাম করছি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর