
বগুড়ার শেরপুরে মামলার এজাহারভূক্ত আসামী আ.লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামকে পালাতে সহযোগিতাসহ দলীয় কর্মকান্ডের বহির্ভূত কাজ করায় বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম (মেম্বার) কে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে উপজেলার ১০নং শাহ্-বন্দেগী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) শেরপুর উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টুর করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার ১০৭ নম্বর আসামি সিরাজুল ইসলামকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর তোফাজ্জল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আটক করতে যান। এ সময় জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের পুরুষ ও মহিলা সদস্যরা বাধা প্রদান করে। এসময় বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সাব ইন্সপেক্টর তোফাজ্জল হোসেন শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিকুল ইসলাম এর নিকট সহযোগিতা চাইলে তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাড়ি তল্লাশি করে সিরাজুল ইসলামকে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসার সময় জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের সকল সদস্য আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালাতে সহায়তা করে। এ ঘটনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপির নের্তৃবৃন্দকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।
এ বিষয়ে বহিস্কৃত নেতা জাহিদূল ইসলাম বলেন, আমি একজন জন-প্রতিনিধি। সন্ধ্যায় আমাকে বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় পুলিশ এসেছে। আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার মামা সিরাজুল ইসলামকে আটক করতে পুলিশ এসেছে। এ সময় আমি পুলিশকে জানাই তিনি নির্দোষ। হামলার সাথে তিনি যুক্ত নন। এসময় উপস্থিত পরিবারের মহিলা সদস্যরাসহ বেশ কয়েকজন সদস্য (আমার মামা) সিরাজুল ইসলামকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ কারণেই হয়তো বহিষ্কার করা হয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে জাহিদুল ইসলাম দড়িমুকুন্দ গ্রামে বাড়ি ভাঙ্গচুর করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এছাড়াও আজ ৮ অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম বিএনপির করা মামলার আসামী সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ আটক করতে গেলে বাধা প্রদান করে পালাতে সহায়তা করেছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আসামী সিরাজুল ইসলামকে হেফাজতে নেয়ার আগেই কথাবার্তার এক পর্যায়ে জাহিদুল ইসলাম আসামীকে পালাতে সহায়তা করে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর