কোনো কারণ ছাড়াই সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়দল উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে শোকজ করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঐ প্রধান শিক্ষককে আগামী ১৪ই অক্টোবরের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার (৭ অক্টোবর) বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তালা বদ্ধ ছিল স্কুলের গেইটসহ প্রতিটি দরজা। তখন কোন শিক্ষক,ছাত্রছাত্রী ছিল না স্কুল এলাকায়। এই ভিডিও ফুটেজ ফেইসবুকে প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে পরে সবার।
আর স্থানীয় বাসিন্দা অভিভাবকগণ ও জানেন না কেন স্কুল বন্ধ ছিল। এ নিয়ে সচেতন ও অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন অভিভাবকগণ। এছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান,এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়,আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব বিস্তার করে নিয়মিত স্কুলে আসতেন না,কারণ উনার বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ধনপুর ইউনিয়নে। এছাড়াও নানান অনিয়মের সাথে জড়িত থেকে নিজেকে ক্ষমতাধর মনে করতেন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিজেকে পাল্টিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতা কর্মীদের সাথে আঁতাত শুরু করেছেন নিজেকে রক্ষায়। শোকজ পেয়েন বলে জানিয়েছেন বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান আমি শোকজের জবাব দিব। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন,ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে বলা হয়েছে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জবাব দেয়ার জন্য। এখন দেখি কি জবাব দেয় তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান,স্কুল বন্ধ রাখার কোনো কারণ ছিল ঐ দিন তবে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুলের গেইটে ও দরজায় তালা আবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা আছে কোনো শিক্ষক ও ছাত্র নেই একটি ভিডিও ফুটেজ ফেইসবুকে প্রকাশ হয়েছে জানতে চাওয়া মাত্রই গণমাধ্যম কর্মীর সাথে উত্তেজিত হয়ে বলেন আমি ছুটতে ছিলাম আবার বলেন আজ উপজেলায় খেলা ছিল সেখানে আমিসহ একজন শিক্ষক ছিলাম। স্কুল বন্ধ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে আরও ভাইরাল করেন। দেখি কী করতে পারেন। আমি স্কুলে গিয়ে দেখব কী করতে পারি। এক পর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মীকে দেখে নেবারও হুমকিও দেয় এই প্রধান শিক্ষক।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর