বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় কারাগারে থাকা সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তবে জামিন শুনানির সময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিল না।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা ৩ টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বয়স ও অসুস্থ বিবেচনায় তার জামিন করেছেন বলে জানান আদালত।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান অসুস্থ হয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা আদালতকে সব কিছু বুঝিয়ে বলেছি আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে ২০ হাজার টাকা বহন দিয়ে তাকে জামিন দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
এর পূর্বে বুধবার সকাল ১১ টায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানিতে ঘটনা ঘটে। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন এজলাসে উঠার পরেই দুপক্ষের হট্টগোলের ঘটনায় এজলাস ছাড়েন তিনি। পরে আবারও আজ দুপুর আড়াইটায় শুনানির সময় নির্ধারণ করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মাশুক আলম বলেন, হঠাৎ করই সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর জামিন শুনানির দিন ঠিক করা হয়। আমরা সকালে তার বিরোধিতা করলে আদালতের বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। পরো তিনি দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আবারও শুনানির কথা বললে আমরা সেই শুনানিতে উপস্থিত না হয়ে বয়কট করেছি। আদালত এক পক্ষের কথা শুনে সাবেক এই মন্ত্রীকে জামিন দিয়েছেন যা দুঃখ জনক।
বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী অ্যাড. শেরেনুর আলী জানিয়েছেন, পিপি এপিপিরা রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে থাকার কথা কিন্তু তারা আসামি পক্ষে থেকেছেন। নিম্ন আদালতেও এই বিষয় নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। আজকেও করেছি। এই পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জে বিচার কার্যক্রম আগামীতে আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
উল্লেখ,গত (০২ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে ৯৯ জনকে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন মিত্রের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মূলত এই মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক এই মন্ত্রী।
৮০ বছর বয়সী এম এ মান্নান খুবই অসুস্থ। গত ২০ সেপ্টেম্বর এমএ মান্নানকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলা তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে তার তিন দফা জামিন শুনানি হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) তিনি সুনামগঞ্জের কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর