ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী নিজ পাড়া গ্রামে পুত্রবধূর সঙ্গে শ্বশুরের পরকীয়ার জেরে ছেলের হাতে আসাদুল ইসলাম (৫০) এক ব্যক্তি নির্মম হত্যার  শিকার হয়েছেন। নিহত ওই ব্যক্তি পলাশতলী নিজ পাড়া গ্রামের আঃ রহমান ওরফে গেন্দার ছেলে।

সূত্র জানায়, আসাদুল ইসলাম তার পুত্রবধূর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলায় তার স্ত্রী নাজমা আক্তার পরকীয়ায় বাধা দেয়। পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় নাজমাকে এক বছর আগে ডিভোর্স দেন স্বামী আসাদুল ইসলাম। সে থেকে নাজমা আক্তার তিন ছেলে মামুন হোসেন (৩০), সুজন মিয়া (২৬) শামীম মিয়া (২০) কে নিয়ে ঢাকা থাকেন। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে নিহত আসাদুল স্থানীয় মিলের বাজার থেকে বাড়ি আসার সময় রাস্তায় আসাদুলের স্ত্রী ও তিন ছেলে রাস্তায় আটকিয়ে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি দিয়ে মারপিট করে। 

নিহতের মা বলেন, আমার ছেলে আসাদুল ঢাকাতে গাড়ি চালায়। গতকাল বাড়ি আসলে আসাদুলের সুমন্দির বউ লাইলী আক্তার ও আসাদুলের স্ত্রী নাজমা তিন ছেলেকে খবর দিয়ে এনে মারধর করেছে ।

নিহতের চাচাতো বোন সাজেদা বলেন, আসাদুল আমার জেঠাতো ভাই। গতকাল রাত ৮টার দিকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। পরে দৌঁড়ায়ে গিয়ে দেখে তার স্ত্রী ও তিন ছেলে মামুন, সুজন ও শামীম লোহার রড়, লাঠি, দা দিয়ে আমার ভাইকে ধান ক্ষেতে ফেলে এলোপাথাড়ি মারধর করছে। আমি ফেরাতে গেলে আমাকেও তারা আঘাত করার চেষ্টা করে। পরে আমার ডাক চিৎকারে বাড়ির আশপাশের লোকজন এসে আমার ভাইকে উদ্ধার ফুলবাড়ীয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করলে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দাপুনিয়া নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রুকনুজ্জামান বলেন, ঘটনা শুনেছি, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুনতাসির/সাএ