পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নীলফামারীতে একদিনে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে শহরের পাঁচমাথা মোড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রান্ত (২৮) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সে শহরের সবুজপাড়া এলাকার রবিয়াল আলম লালুর পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্রুতগতির মালবোঝাই ট্রাকটি মোটর সাইকেল আরোহি প্রান্তকে পিছন থেকে চাপা দেয়। একই দিন সন্ধ্যায় নীলফামারী-জলঢাকা সড়কের কচুকাটা ব্রিজের উপর ট্রাকের চাকা পিষ্ট হয়ে দেলোয়ার হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি জলঢাকা রাজারহাট এলাকার মৃত-মহিউদ্দিনের ছেলে।
এদিকে সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কের ধলাগাছ নামক স্থানে সড়ক পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় রেহানা বেগম (৪৫) নামের এক মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঐ এলাকার জনৈক আব্দুল বারীর স্ত্রী বলে পুলিশ জানায়। অপর সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ডোমার উপজেলার জালালের মোড় নামক স্থানে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মাল বোঝাই ট্রাক ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই রোজিনা বেগম (৪০) নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তিনি দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কুশানি গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী। উনারা ডিমলা উপজেলার কলোনি ভাটিয়া পাড়া গ্রামের আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে হাজারো খানাখন্দকে ভরা নীলফামারী প্রধান সড়ক চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে কলোনি পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা গত কয়েক বছর থেকে শহরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে ফেললেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ অসার। হাজারো খানাখন্দকে ভরা সড়কটিতে চরম ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শতশত যানবাহন চলাচল করছে।
সূত্র জানায়, এক সড়কের নীলফামারী শহরের এ সড়কটির বর্ধিতকরণ কাজ আমলান্তিক জটিলতা আর কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বন্ধ হয়ে আছে গত ২-৩ বছর থেকে। সড়কের নকশা, জমি অধিগ্রহণ ও কোন কোন ভবনকে অধিগ্রহণের আওতার এনে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দেওয়া-নেওয়া করা যায় এ নিয়ে ফাইল চালাচালির কারণেই মূলত সড়কের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে এমন অভিযোগ শহরবাসীর।
তবে জেলা সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, গত জুনে অধিগ্রহণের অর্থ ছাড় হয়েছে, বাকী কাজ জেলা প্রশাসনের। অপরদিক পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাথর ও বালি ভর্তি দানব আকৃতির শত শত ট্রাক জ্বালানি ও সময় বাঁচাতে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও হাইওয়ে ছেড়ে নীলফামারী জেলা শহর ও অলিগলি সড়ক ব্যবহার করায় সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর