শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে মহাষ্টমী পূজা শেষে শুরু হয়েছে মহানবমী। ধূপ দিয়ে কুমারী পূজা, সন্ধিপূজা সহ বিহিত পূজা করছেন ভক্তরা। মহাষ্টমীপূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে রামায়ণ পালা, আরতিসহ রয়েছে নানা অনুষ্ঠান ।
১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় বারোয়ারী দুর্গা মন্দিরের পুরোহিত শ্রী প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, জয়পুরহাটে শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।
জয়পুরহাটের ঐতিহাসিক সার্বজনীন শিবমন্দিরের পুরোহিত শ্রী গৌর চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, আজ শুক্রবার সকালে মহাষ্টমী শেষে শুরু হয়েছে মহানবমী। পূজামণ্ডপে কুমারী পূজা, সন্ধিপূজাসহ বিহিত পূজার পাশাপাশি রামায়ণ পালা, আরতিসহ চলছে নানা আয়োজন । মাদারগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ইতি আগরওয়াল নামে ৯ বছরের এক মেয়েকে কুমারী রূপে সাজানো হয়। কুমারী পূজা শেষে ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয় । অসুরবধে চক্র, গদা, তির, ধনুক, খড়গ-কৃপাণ-ত্রিশূল হাতে মাতৃরূপে দেবী হেসে উঠেছেন। দূর কৈলাস ছেড়ে দুর্গা পিতৃগৃহে আসবেন দোলায়, গমন করবেন ঘোটকে । কাল শনিবার বিজয়া দশমীতে দেবীবরণ, অপরাজিতা পূজা ও সিঁদুর খেলার পর বিদায় নেবেন দেবী দূর্গা। শনিবারে বিজয়াদশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও হিন্দু সাস্ত্রমতে, শনিবার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। সে কারনে রোববার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের শাখা যমুনা নদীতে বিসর্জন দেওয়া হবে বলে জানান, জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় বারোয়ারী মন্দিরের পুরোহিত শ্রী প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী ।
জয়পুরহাটের কেন্দ্রীয় বারোয়ারী মন্দির কমিটির সভাপতি নির্মল কুমার মন্ডল জানান, দুর্গাপূজা মূলত পাঁচ দিনের অনুষ্ঠান হলেও মহালয়া থেকেই প্রকৃত উৎসবের সূচনা ও কোজাগরি লক্ষ্মীপূজায় তার সমাপ্তি হয় ।
জয়পুরহাট সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্ণেল জুবায়ের বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন এবং কমিটির সদস্য সহ পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে বাসসকে জানান, জয়পুরহাট জেলায় সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা আয়োজনের জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মহীউদ্দীন জাহাঙ্গীর জানান, প্রতিটি পূজা মন্ডপের জন্য সরকারি ভাবে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জয়পুরহাট জেলায় এবার ২৯০ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এবারের পূজা আয়োজনে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় বারোয়ারী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত কুমার কুন্ডু।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর