অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ছাত্র-জনতা যে আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়েছেন, সেই সুযোগ যেন আমরা কোনোভাবেই নষ্ট না করি। এই বাংলাদেশের অনেক স্বপ্ন আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, আমরা এই দেশের সকল ধর্মের সকল মতের মানুষ একসাথে বসবাস করবো।
আমরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। সংখ্যালঘু শব্দটা শুনলে মনে হয় আপনাদের কম অধিকার বা কম মর্যাদা আছে। আপনারা সবাই বাংলাদেশের মালিক। আপনাদের সমান অধিকার সমান মর্যাদা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়ায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় হিন্দু মুসলমান বা খ্রিষ্টান হিসেবে পৃথক করা হয় নাই। আমরা সবাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছি, বিপন্ন বোধ করেছি, জীবন হারিয়েছি, আহত হয়েছি। যখন বিপদ আসে তখন ধর্ম পরিচয় ভেদে আসে না। আমরা সমস্ত উল্লাসে আনন্দ বেদনা একইভাবে উপভোগ করি। কাজেই উৎসব করার অধিকার বা ধর্ম করার অধিকার একইভাবে একশো পার্সেন্ট সমান থাকবে। কারও বেশি বা কম নয়।
তিনি বলেন, সব জায়গায়, মুসলমান ধর্মের মানুষ, খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষ ও হিন্দু ধর্মের মানুষ সবাই একসাথে পুজামন্ডবগুলো রক্ষার চেষ্টা করছে। তারপরও দেখবেন কিছু কিছু ঘটনা ঘটবে। আপনারা কখনো রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোকে এক করে ফেলবেন না। অনেক ধর্মের আক্রমণের ঘটনা ঘটে যেটা রাজনৈতিক ঘটনা। কোনটা ব্যক্তিগত শত্রুতামূলক, কোনটা দুটো দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা কখনো কোন রাজনৈতিক দলের ফাঁদে পা দেবেন না। আপনারা বাংলাদেশের মানুষ, স্বাধীন বিচার বুদ্ধি নিয়ে চলবেন। আপনাদের নিয়ে খেলা তো কোন দলই কম করেনি।
সত্য নারায়ণ সারদা’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. তোফাজ্জল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস, জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইন্দ্রজিৎ সাহা, এ্যাড. কল্যাণ সাহা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত ঈশান প্রমুখ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর