
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গেল ১৬ বছরে দেশ থেকে অনেক টাকা পাচার গেয়ে গেছে। দেশের বাহিরে চলে গেছে টাকা। দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে।
আমাদের ৪ হাজার এমসি গ্যাস দরকার। সেখানে আমরা ৩ হাজার এমসি গ্যাস পাচ্ছি। প্রয়োজনে আমাদের গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এটার জন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় হয়। এ মুহূর্তে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেয়াড় হবে,আমাদের জন্য একটি মিথ্যা আশ্বাস।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট কূপ) খনন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তবে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে।
বিবিয়ানার পরে এখনো দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস কোন কুপে পাওয়া যায়নি।উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির আরও বলেন, দেশে লুটপাট হয়েছে এটা আপনারা সবাই জানেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থেকে আমরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকব। আমাদের অনুসরণ করে আমাদের সচিবরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। আগে গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করতো । এখন আর সরকার করে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলারিটি কমিশন গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকেন। তারা গ্রাহক ও যারা এলপি গ্যাস আমদানি করে থাকে তাদের সাথে কথা বলে বোতল জাত গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোলিয়ম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স)ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সোয়েব,মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুকসহ বাপেক্সের উর্ধ্বোতন কর্মকর্তারা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর