
খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি মারমা উন্নয়ন সংসদের হলরুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাঙালি, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
খাগড়াছড়ি পৌর এলাকার ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডে পাহাড়ি-বাঙালিদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিক আলম, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় এবং সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল বাতেন মৃধা।
সম্প্রীতি সমাবেশ থেকে সকল পাহাড়ি সম্প্রদায় এবং বাঙালিদের মধ্য থেকে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি রক্ষায় ৭৮ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। পর্যায়ক্রমে পুরো জেলায় এ ধরনের কমিটি করা হবে বলে জানান অতিথিবৃন্দ।
প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, 'বর্তমানে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এজন্য আমরা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কোন সম্প্রদায় কোন সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক উদ্যোগে তাড়াতাড়ি সমাধান করা সম্ভব। যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে কিছু রয়েছে রাজনৈতিক সমস্যা, কিছু সামাজিক সমস্যা এবং কিছু ব্যক্তিগত সমস্যাও রয়েছে। এসব স্ব স্ব সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, 'কোন একটা পক্ষকে কেবল দোষ চাপিয়ে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। একটা স্বার্থান্বেষী মহল এ সমস্যাগুলো সার্বিকভাবে চাপিয়ে দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালির মেল বন্ধন, শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। তারা গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দাঙ্গার সৃষ্টি করতে চায়। এসব থেকে সবাইকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।'
সম্প্রীতি সমাবেশে অতিথিবৃন্দ ছাড়াও খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার, মারমা ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা ম্রাচাথোয়াই চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অশোক মজুমদার, অরুণ কান্তি চাকমা, সুখময় চাকমা, মংনু মারমা (বলে), কনক ত্রিপুরা, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন, স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান সহ পাহাড়ি-বাঙালি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা সম্প্রীতি-সহাবস্থান নিশ্চিতে পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে আহ্বান জানানো হয় এবং এ লক্ষ্যে সম্প্রীতি রক্ষায় সমাবেশ থেকে পাহাড়ি-বাঙালিদের নিয়ে ৭৮ সদস্যের সমন্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর