খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে চারটি পূজামণ্ডপে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের। রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও উপজেলা সদরের শ্রী শ্রী রাজশ্যামা কেন্দ্রীয় কালি মন্দির, তিনটহরী সার্বজনীন দুর্গাপূজা, একসত্যা পাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা এবং বড়ইতলী অদ্বৈত অচ্যুত ধাম দুর্গাপূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সনাতনী ভক্তরা জানান, সব কষ্ট দূর করে দেবী দুর্গা আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন। এক বছর পর মা আবার আসবেন। আমরা মায়ের কাছে দেশ ও জাতির মঙ্গলার্থে প্রার্থনা করেছি। তিনি যেন সকলের উন্নতি আর প্রগতিতে আমাদের জীবন ভরিয়ে দেন। পৃথিবীতে যেন শান্তি ফিরে আসে। বন্ধ হোক সকল দাঙ্গা, হাঙ্গামা। সেই সাথে সকলের মঙ্গল কামনা দেবী দুর্গার নিকট দোয়া কামনা করেন ভক্তরা।
সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত ছিল বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আফরোজ ভুঁইয়া। পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ভিজিলেন্স টিম পূজা চলাকালীন সময়ে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে নিয়োজিত ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মানিকছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন জানান, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও সকলের সহযোগিতা শান্তিপূর্ণ ভাবে উপজেলার চারটি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবকে পালন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, হাঙ্গামার ঘটনায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সনাতনী ধর্মাবলম্বী ও পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর