
ভক্তবৃন্দের কণ্ঠে ’মা তুমি আবার এসো’এ আকুতি জানিয়ে রোববার দেবীর ললাটের সিদুঁর আপন ললাটে এঁকে নেন নারীরা। এই সিদুঁর খেলা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হলো পাঁচদিন ব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের।
পাঁচদিন ব্যাপী দুর্গোৎসবের শেষ দিনে রোববার মণ্ডপে মণ্ডপে চলে সিদুঁর খেলা। এরপর দেবীর বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের পালা। গত বুধবার বোধনে ’অরুণ আলোর অঞ্জলি নিয়ে আনন্দময়ী মা উমাদেবীর আগমন ঘটে মর্ত্যে। হিন্দু বিশ্বাসে টানা পাঁচ দিন মৃন্ময়ীরুপে মণ্ডপে মণ্ডপে থেকে ফিরে গেছেন কৈলাসে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে।
এবার পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন ও গমন করেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের ঢল, ঢাক আর শঙ্খধ্বনি, সিঁদুর খেলায় মুখরিত হয়ে ওঠে মণ্ডপ প্রাঙ্গণ।
একদিকে উৎসবের আমেজ অন্যদিকে বিদায়ের সুর, শুরু হয় আনন্দে বিষাদে বিদায় উৎসব। বিজয়ার শোভাযাত্রা শেষে ছোট যমুনা নদীর চকশ্যাম ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয়াড় ব্যবস্থা করে পৌরসভা। জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার ২৯০ টি মণ্ডপে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়। সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল দেয়া হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অসুর শক্তি বিনাশকারী দেবী বিদায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী থেকে সকল অপশক্তি বিনাস হয়। বিজয়া শোভাযাত্রার পূর্বে নারীরা দেবীর ললাটের সিদুঁর আপন ললাটে এঁকে নেন। পুরুষরা অশুভ শক্তির বিনাশ কামনা করেন। সবার অন্তরে কামনা আগামী শরতে আবার বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে ফিরে আসবেন মা ’উমা। সেনা, আনসার, পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি টীমও তদারকি করে পূজা মণ্ডপ গুলোতে। বর্ণাঢ্য বিজয়া শোভাযাত্রা নারী, পুরুষ, শিশু কিশোর সকলেই অংশ গ্রহণ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। চকশ্যাম ঘাটে পুরোহিতের শেষ মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় রীতি মেনে অপরাজিতা পূজা শেষে বিসর্জন দেয়া হয় দেবী দুর্গাকে। শেষে আনা হয় শান্তি জল।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর