সাগর রুনি হত্যা হত্যা মামলায় সাবেক সরকারের অনেক প্রভাবশালী জড়িত। যে জায়গাটাই গিয়ে থেমে গিয়েছিল এখন সরকার বাঁধা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
সাংবাদিক সাগর রুনী হত্যা কাণ্ড নিয়ে আরও বলেন, এখানে গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট আছে ডিএনএ, সাগর রুনির শরীরে দু জন ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করা হয়েছে। এই দুজন ব্যক্তিদের খোঁজা হচ্ছে এই দুই ব্যক্তির নাম খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে আশা করছি।
তিনি রবিবার সুনামগঞ্জে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, এই হত্যা কাণ্ড নিয়ে একটি ট্রাস্কফোর্স গঠন করে একটি তদন্ত কমিটি আগামী ৬ মাসের মধ্যে তারা সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়াড় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেহেতু আমি এর সাথে যুক্ত হয়েছিল যার ফলে এর যে প্রাথমিক নথি তা দেখেছি ইনভেস্টিগেশন থাকা অবস্থায় কিছু বলা যায় না। আমার কাছে মনে হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডিকেশন আছে যা ধরে তদন্ত করতে পারলে এর শেষ দিকে যাওয়া যাবে।
দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে সভায় শিশির মনির আরও বলেন, বেশ কিছু সেনসিটিভ মানুষের নাম আছে, সংবেদনশীল মানুষ জড়িত মর্মে প্রাথমিক কর্মকাণ্ডে বুজা যায় সেই সংবেদনশীল ব্যক্তি বর্গের নাম আমি বলছি না। আমার মনে হয় এখন তদন্ত টা প্রপ্রার ডাইরেক্টশনে আছে।
নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেন, লাস্টে যে নির্বাচন গুলো হয়েছে তা নির্বাচন বলা যায় না, তাকে ইলেকশন বলা যায় না। ডাইরেক্ট ইলেকশনের মাধ্যমে কেউ নির্বাচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি আরও জানান, এই জন্য একটি মামলা করেছি আইন টাকে চ্যালেঞ্জ করে ইলেকশন কমিশনের এই আইন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। এই মামলা হাইকোর্ট রোল ও দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি সুনামগঞ্জের দিরাই শাল্লায় ৫-৬দিন উপজেলার ৩৬টি পূর্জা মন্ডব পরিদর্শন করেছি। এছাড়াও এলাকার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি মানুষের সাথে কথা বলেছি মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে সাংঘাতিক ভাবে ভোট প্রয়োগে উদগ্রীব হয়ে আছে।
শিশির মনির জানান, ভোটারগন নিজেরাই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। সে সুযোগ এখন এসেছে। আমরা যাচ্ছি মানুষের কাছে। এখন পেশি শক্তি দেখানোর সুযোগ নেই জনপ্রিয়তা দিয়ের ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট নিয়ে জয়ী হতে হবে।
জামায়াত ইসমালী নিয়ে শিশির মনির বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি ক্লিন ইমেজে দল যার বিরুদ্ধে জুলুম করে কারো জায়গা, জমি দখল, লুটতরাজ, গুম, খুন, রাহাজানিসহ কোনো ধরনের অনিয়মের সাথে জড়িত নাই, এমন কোনো প্রমাণও দেখাতে পারবে না কেউ। আমি যাচ্ছি আমার সংঘটন, স্থানীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সবাই যাচ্ছে। জনগণই নির্বাচিত করবে কাকে গ্রহণ করবে আর নির্বাচিত করবে।
তিনি আরও বলেন, পেশী শক্তি নয় আমরা মানুষের মতামত নিয়ে, ফ্রিডম ও প্রেস নিয়ে ইনভেস্টিগেটর জার্নালিজম নিয়ে আমি আমার আমাদের অ্যাজেন্ডা, যুক্তি তর্ক জনগণের সামনে উপস্থাপন করবো। এখন সময় মানুষ কথা বলা, তাদের মনের কথা উপস্থাপন করার। আর আমাদের কথা তুলে ধরার মাধ্যম আপনারা সাংবাদিকগণ। আশা করছি আপনারা আমাদের কথা গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরবেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতে মাওলানা আমীর তোফায়েল আহমেদ খান,নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ,সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পৌর কলের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক রওনক বখত,জেলা প্রেসক্লাবে সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু,সুনামগঞ্জ রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান পীর,বাসস জেলা প্রতিনিধি আল হেলাল,দৈনিক জালালাবাদ জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর