জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, সরকার জনগণের হয়ে কাজ করছে। এবার এর প্রতিফলন দেখতে পারবেন। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনন্দোলনে নিহত আহতের ঘটনাগুলো কোর্টের বিচারাধীন, বেশি কথা বলা যাবে না। জাতিসংঘ বিষয়গুলোর তদন্ত করছে। ঘটনায় মাঠ প্রশাসনসহ যারাই জড়িত ছিল, তারা কেউই সাজার বাইরে যাবে না।

রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোখলেস উর রহমান বলেন, আবু সাঈদ এখন ইন্টারন্যাশনাল ফিগার। আমি ভাগ্যবান, তাঁর কবর জিয়ারত করতে পেরেছি। আবু সাঈদ যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরতো, সেই বিশ্ববিদ্যালয় কারমাইকেল কলেজের জমিতে প্রতিষ্ঠিত। আমি কারমাইকেল কলেজের ছাত্র ছিলাম। যাই হোক, এই যে অভুত্থ্যান কিংবা বিপ্লব যাই বলি না কেন, এই জাতি সারাজীবন আবু সাঈদকে স্মরণ করবে। শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার পরিবারের নিরাপত্তা দিবে প্রশাসন। এসময় তিনি প্রশাসনকে আবু সাঈদের পরিবারের নিরাপত্তা দেয়াড় নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সাথে আবু সাঈদের বাড়ি যাওয়ার সকল সড়ক সংস্কার ও পাকা করণের আশ্বাসও দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, পাবলিক সারভেন্ট মানে সেবক আমি সরাসরি বলি চাকর। তাই আমরা জনগণের সেবার জন্য সবসময় প্রস্তুত। আপনারা আমাদের সেবা নিবেন, পরামর্শ দিবেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু। আপনারা এখন বেশি বেশি করে নিউজ করতে পারবেন।

এর আগে দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরে পৌঁছানো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান। পরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি আবু সাঈদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাাকসুদ জাহেদী, বিভাগীয় কমিশনার ভারপ্রাপ্ত আজমল হোসেন, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহা পরিচালক আখতারুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

সালাউদ্দিন/সাএ