
জয়পুরহাট সরকারি কলেজে অনার্স পড়ুয়া আয়সা সিদ্দিকা (২১) নামে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে শ্বাস রোধ করে হত্যা সংক্রান্ত মামলার রায়ে সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত।
জয়পুরহাট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক মো. আব্দুল মোক্তাদির জনাকীর্ণ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (৩) ধারার দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ড দেওয়া আসামিরা হচ্ছেন পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তের ছেলে রনি মহন্ত (৩২) ও আয়মা পাড়া গ্রামের খোরশেদ মন্ডলের ছেলে জাহিদ হাসান কামিনি (৩৫)।
সরকার পক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি এ্যাডঃ ফিরোজা চৌধুরি জানান, পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী আয়সা সিদ্দিকা প্রতিদিনের ন্যায় ২০২২ সালের ৬ মে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা প্রাচীর টপকিয়ে বাড়িতে ঢুকে আয়সা সিদ্দিকার মুখে কাপড় গুজে দিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন (৭ মে ২০২২) নিহতের বড় ভাই মোস্তাক হোসেন বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন২০০০ এর ৯ (৩) ধারার একটি মামলা দায়ের করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা আগে থেকেই আয়সা সিদ্দিকা উত্ত্যক্ত করতো। সেই কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করলে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পাঁচবিবি থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ সোমবার রনি মহন্ত ও জাহিদ হাসানকে মৃত্যুদন্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দিয়ে রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয় রায়ে। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডঃ ফিরোজা চৌধুরী ও আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর