
যশোরের বকচর এলাকায় রানী চানাচুর ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরে মিলন নামে এক কর্মচারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিরাব (১৩ অক্টোবর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিলন মণিরামপুরের ঝালঝাড়া খালকান্দা গ্রামের আসমত আলীর ছেলে।
তিনি রানী কোম্পানির ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরে গরুর খামারে চাকরি করতেন। ফ্যাক্টরির কর্মচারীরা তার সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের ভেতরে গিয়ে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে সোমবার দুপুরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বা কারা করেছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পায়নি থানা পুলিশ।
তার সহকর্মী তরিকুল ইসলাম জানান, ওইদিন রাত ১১ টা পর্যন্ত তিনি এক নাইট গার্ডের সাথে ওয়াজ মাহফিল শুনেছেন। পরে তিনি কোম্পানিতে এসে ঘুমাতে যান। সকালে এসে তিনি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় মিলনকে দেখতে পান।
নিহতের বাবা আসমত জানান, মিলন সেখানে একাই থাকতেন। মিলনের স্ত্রী ও দুই ছেলে মণিরামপুরের বাড়িতে থাকতেন। সকালে খবর শুনে তারা এসেছেন। তার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা জানান, মিলন গত তিন বছর তাদের গরুর খামার দেখাশুনা করেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। মিলন নিরীহ প্রকৃতির বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে হত্যাকান্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ওসি শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবুল আক্তার, পিবিআই কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা হত্যা রহস্য খুঁজতে কাজ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুযেল ইমরান বলেন, মিলন হত্যার বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর