সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ছাত্রাবস্থায় উগ্রপন্থি রগ কাটা দল করতেন এমন বক্তব্য ছড়িয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্নার করা এমন অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, পিএইচডি সম্পর্কে আইনজীবী জনাব জেড আই খান পান্নার অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। জনাব জেড আই খান পান্না ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির অতীত ইতিহাস’ জানার দাবি করে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নির্জলা ও সর্বৈব অসত্য, বিদ্বেষপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে, মাননীয় উপাচার্য জীবনের কোন পর্যায়ে কোন ধরনের রাজনৈতিক দলীয় সংগঠনের সঙ্গে কখনও সম্পৃক্ত ছিলেন না। ভবিষ্যতেও তাঁর কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ নেই। ইতিপূর্বে সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত একাধিক বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য তাঁর এ অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন পুরো সময় তিনি অনাবাসিক ছাত্র ছিলেন। জনাব পান্না কিংবা তাঁর বর্ণিত কথিত ঘটনার সঙ্গে মাননীয় উপাচার্যের কোন দূরতম সম্পর্কও নেই। জনাব পান্নার এ ধরনের বক্তব্য মাননীয় উপাচার্যের সম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।
বিজ্ঞপ্তির শেষাংশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করে যে, এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাননীয় উপাচার্য সম্পর্কে প্রদত্ত অসত্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যকে ঘিরে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন হবে।
কি বক্তব্য দিয়েছিল পান্না: বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন প্রতিবাদের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়ায়। ফেসবুকে ভিত্তিক একটি পেজে গত ১ অক্টোবর এক টকশোতে জেডআই পান্না ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সম্পর্কে বলেন, “আপনার অতীত ইতিহাস আমি জানি, চট্টগ্রামে ছাত্র থাকাকালীন তিনি কোন দল করতেন সেটিও আমি জানি; একদম উগ্রপন্থি রগ কাটা দল করতেন। তো সেই দিক দিয়ে তিনি রগ কাটা দলের একটি স্টাবলিশ করতে পারবে। এখন মেধার বিকাশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আবার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা তার দ্বারা সম্ভব হবে না।”
এর আগে আইনজীবী পান্না বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির দায়িত্ব কিন্তু মাগরিবের নামাজ পড়ানো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে আনা।”
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর