সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা তাদের পদত্যাগ দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। এ অভিযোগের বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর রায়গঞ্জ উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন অফিসার ডা. মো. আমিনুল ইসলাম সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইমলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনে বিরুদ্ধে ও অন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের করা অভিযোগের সরেজমির তদন্ত করেছেন। তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সাময়ইক বরখাস্ত করেন ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনে সতর্ক করে দেন।
তদন্ত রিপোর্ট জমা দিলে সন্তোষ জনক না হওয়ায়। পুনরায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর চিঠি ইস্যু করেন তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছেন রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পুনরায় তদন্ত কমিটিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাক আব্দুর রউফকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করে রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে করিমকে সদস্য ও ছাত্র অভিভাবক প্রতিনিধি আব্দুল আলিমকে সদস্য করা হয়। বুধবার (১৬ অক্টোবর)পূর্ণরায় আবারো তদন্ত শুরু করেছেন।
সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্ক, নৈতিক স্খলনেরর অভিযোগ। বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাধসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘটসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। সেইসাথে তাদের রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষক ও ছাত্ররা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময়ে তিনি তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন, যতটুকু সময় বিদ্যালয়ে থাকেন তিনি তত টুক সময় সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে নিয়ে নিজ কক্ষে সময় কাটান। বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, পুকুর লিজের অর্থ আত্মসাতসহ নানান অভিযোগ করেন।
তবে এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটির কর্মকর্তা আহবায়ক রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ,সদস্য রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে করিম ও ছাত্র অভিভাবক প্রতিনিধি আব্দুল আলিম বলেন, আমরা বাদী-বিবাদী ও ছাত্রদের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নিয়েছি। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ সংগ্রহ করেছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর